প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার তাঁর নিজ রাজ্য গুজরাতের কচ্ছে অবস্থিত গুরুদ্বার লাখপত সাহিবে গুরু নানকের গুরুপূরব উদযাপনে ভাষণ দেন। এদিন মোদী বলেন, ‘আজ যখন আমি এই পবিত্র স্থানটির সাথে সংযোগ স্থাপন করছি, তখন আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে লাখপত সাহেব অতীতে কীভাবে ঝড় দেখেছে। এক সময় এই স্থানটি অন্যান্য দেশের জন্য বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ভূমিকম্পের সময় এই গুরুদ্বারটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেই সময়কার স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালের ভূমিকম্পের পরে, আমি গুরুর কৃপায় এই পবিত্র স্থানটির সেবা করার সৌভাগ্য পেয়েছি। আমার মনে আছে, সে সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কারিগররা এই স্থানটিকে তার আগের গৌরব ফিরিয়ে দিয়েছিল। প্রাচীন রচনাশৈলীতে এখানকার দেওয়ালে গুরুবাণী খোদাই করা ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী মনে করান, এই প্রকল্পটি ইউনেস্কোর সম্মানে সম্মানিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘গুরু নানক দেবজির বাণী নতুন শক্তির সাথে সারা বিশ্বে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি স্তরে প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কয়েক দশকের প্রতীক্ষার পর ২০১৯ সালে কর্তারপুর সাহেব করিডোর নির্মাণ সম্পন্ন করেছিল আমাদের সরকারই।’ উল্লেখ্য, আসন্ন পঞ্জাব নির্বাচনের আগে শিখ ধর্মাবলম্বীদের মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এর আগে গুরু নানকের গুরু পর্বের দিনই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন মোদী। পঞ্জাব নির্বাচনের জন্য অমরিন্দর সিংয়ের দলের সঙ্গে জোটও গড়েছে বিজেপি। এদিকে সম্প্রতি পরপর শিখ ধর্মের অবমাননার ঘটনায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবে। এই আবহে পঞ্জাব নির্বাচনে যে ধর্মীয় আবেগ একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
এর আগে প্রধআনমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, ‘এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে এই বিশ্বাসের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। গুরু নানক দেবজির ৫৫০ তম প্রকাশ পর্ব, গুরু গোবিন্দ সিংজির ৩৫০তম প্রকাশ পর্ব এবং গুরু তেঘ বাহাদুর জির ৪০০তম প্রকাশ পর্ব উদযাপন সহ একাধিক সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাতেও প্রতিফলিত হয়েছে।’