কেন্দ্র ও চাষীদের দশম রাউন্ডের বৈঠকে কিছুটা বরফ গলল। অবশেষে কিছুটা হলেও দেখা গেল সমস্যা সমাধানের রাস্তা। এদিন কেন্দ্রের তরফ থেকে বলা হয় যে তারা দেড় বছরের জন্য কৃষি আইনকে স্থগিত করতে রাজি। কেন্দ্র বলেছে যে তারা একটি কমিটি গঠন করতে চায় যারা চাষীদের সঙ্গে তিনটি আইনের প্রতিটি ধারা নিয়ে আলোচনা করবে। চাষীদের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে তারা নিজেদের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা করবে ও ২২ তারিখের পরবর্তী মিটিংয়ে মতামত জানাবে।
গত নয়টি বৈঠকেই একই চিত্রনাট্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। চাষীরা বলছে আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র, অন্যদিকে মোদী সরকারের তরফ থেকে তিন মন্ত্রী বলেছে যে আইনের ধারা নিয়ে আলোচনা করা হোক, কিন্তু প্রত্যাহার করা হবে না কৃষি আইন। এদিন অনেকটাই ঝুঁকল কেন্দ্র। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সাময়িক ভাবে কৃষি আইনের প্রণয়ন স্থগিত করে রেখেছে। সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও কেন্দ্রকে একটা মুখরক্ষার পথ বার করে দেয়। এদিন কেন্দ্র বলে যে তারা দেড় বছরের জন্য আইনটি চালু করবে না যদি চাষীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতেও রাজি আছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও কৃষি আইন নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে রাজি সরকার। তাদের সুপারিশ মেনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কার্যত ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এখন পাশ হওয়া কৃষি আইনগুলিকে।
এদিন কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানান যে তাঁরা বৃহস্পতিবার বৈঠক করবেন এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে এনআইএ যে মামলা করেছে চাষীদের বিরুদ্ধে, সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ারও দাবি করা হয়েছে বলে জানান হান্নান। এদিনের বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে আলোচনা ঠিক দিকে এগোচ্ছে ও ২২ তারিখ মিটমাট হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু চাষীরা জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এই কমিটির সঙ্গে কথা বলবে না। ইতিমধ্য়েই কাজ শুরু করেছে এই কমিটি। বুধবার যদিও সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে চাষীরা চাইলে কমিটির কাছে না যেতে পারে। কিন্তু কোনও সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনভিপ্রেত। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে কমিটি শুধু রিপোর্ট দেবে, তারা এই বিষয়টির শুনানি করবে না।