মথুরায় হিন্দু মন্দিরে নমাজ পড়ার জন্য দিল্লির ধার্মিক-সামাজিক সংগঠন ‘খুদাই খিদমৎগার’-এর দুই মুসলিম সদস্যের বিরুদ্ধে এফাইআর দায়ের করেছে বরসানা থানার পুলিশ। সহ-অভিযুক্ত সংগঠনের দুই হিন্দু সদস্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দ বাবা মন্দিরের সেবায়েত কানহা গোস্বামী।
নন্দ বাবা মন্দিরে নমাজ পড়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্য দুই পুরোহিত মুকেশ গোস্বামী ও এস ডি শিব হরি।
এফআইআর অনুসারে, গত ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২.৩০ এ নন্দ বাবা মন্দিরে পৌঁছে মথুরার ব্রজ অঞ্চলের রীতি মেনে ‘৮৪ কোশ পরিক্রমা' সম্পূর্ণ করেন চার অভিযুক্ত ফয়জল খান, চাঁদ মহম্মদ, অলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তা। তাঁদের ৮ জনেরই বয়েস তিরিশের কোঠায় এবং সকলেই দিল্লির বাসিন্দা।
সেবায়েত কানহা গোস্বামীর অভিযোগ, হিন্দু মন্দির চত্বরে দুই মুসলিম ধর্মাবলম্বীর নমাজ পড়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা হয়। তার জেরে হিন্দু ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। নমাজ পড়ার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকে আগাম অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
নমাজ পড়ার ছবি অপব্যবহার করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেবায়েত। তাঁর দাবি, এর পিছনে বিদেশি অর্থ বিনিয়োগ থাকতে পারে।
এফআইআর অনুযায়ী, মন্দিরে নমাজ পড়ার ছবি পোস্ট করে আদতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
স্থানীয় অধিবাসীরা অবশ্য জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ফয়জল খান মন্দি প্রদক্ষিণ করেন এবং চার জনেই হিন্দু পুরাণ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত এবং তাঁরা রাম চরিত মানস থেকে কিছু ‘চৌপাই’ অর্থাৎ স্তবকও আবৃত্তি করেছিলেন।