বাড়ির ভিতর থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হয়েছিল। বাড়ির বাইরে থাকা বাথরুমে এরপর তাঁকে নিয়ে গিয়ে পায়ের ওপর কোপ বসানো হয়। ঝরঝর করে বইতে থাকে রক্তগঙ্গা। ততক্ষণে এই পা থেকে রুপোর নূপুর চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ততক্ষণে ১০৮ বছর বয়সী ওই মহিলা যমুনাদেবী থরথর কর কাঁপছেন যন্ত্রণা, আতঙ্কে।
রাজস্থানের জয়পুরের গালটা গেটের কাছে সকালবেলায় এই হাড়হিম করা চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার মীনা কলোনির বাসিন্দা তিনি। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তাঁকে হিঁচড়ে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে তাঁর পা কেটে সেখান থেকে রুপোর নূপুর চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। মীনা কলোনির কাছে যমুনা দেবী থাকেন তাঁর মেয়ে ও নাতনির সঙ্গে। সেখানে তাঁদের বাড়ির বাইরে তৈরি হয় ওই বাথরুম। সেখানেই ঘটে যায় এই কাণ্ড। যমুনাদেবীর মেয়ে গোবিন্দি দেবী জানান, তিনি তাঁর মেয়ের কাছ থেকে শোনেন যে দিদিমা যন্ত্রণায় বাথরুম থেকে ছটফট করে কাঁদতে থাকেন। তখনই তাঁরা ছুটে যান। আর সেখানে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধা পড়ে রয়েছেন। মুহূর্তে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভূমিপুত্র মোদী করলেন ঘোষণা, দেশের প্রথম 'সোলার পাওয়ার্ড ভিলেজ' গুজরাতের মোধেরা
নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলার ভাগ্নে জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর আত্মীয়া খুব বেশি কথা বলতে পারেন না বা জোরে কথা বলতে পারেন না, তাই কেউ তাঁর চিৎকার শুনতে পাননি। ভোর ৫ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে যায় বলে খবর। সেই সময় বাড়ির সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। আর তখনই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায় বলে জানিয়েছেন যমুনা দেবীর বাড়ির লোকজন।