বাংলাদেশের সঙ্গে ‘পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে’ নিয়ে যেতে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছালেন বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলা। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা একথা জানিয়েছেন।
শ্রিংলার সেই সফর নিয়ে প্রথমে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সরকারিভাবে মুখ খোলা হয়নি। তিনি ঢাকা পৌঁছানোর পর এক বাক্যের বিবৃতিতে সাউথ ব্লকের তরফে বলা হয়, ‘দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে’ মঙ্গলবার ও বুধবার বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন বিদেশসচিব।
করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের পর থেকে এই প্রথম ভারতের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক বাংলাদেশে গেলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে ওই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ বার্তা নিয়েই হাসিনার কাছে গিয়েছেন শ্রিংলা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এবং বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যিনি এক সময় বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন।
এমনিতেই গত বছর থেকে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্কে বেশ খানিকটা চোনা ফেলেছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। অসম থেকে অবৈধ শরণার্থীদের বিতাড়িত করা নিয়ে বিজেপি নেতাদের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের নেতানেত্রীরা। এমনকী চলতি বছরের গোড়ার দিকে একটি সাক্ষাৎকারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ হাসিনা।
তারইমধ্যে গত মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু করোনার জেরে সেই সফর বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন মোদী ও হাসিনা। শেষবার কথা হয়েছিল মে মাসে। সেক্ষেত্রেও দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। গত মাসেই ঢাকার হাতে ১০ টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন তুলে দেওয়া হয়েছে। তার কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে প্রথম কন্টেনার ট্রেন। ঐতিহাসিক যাত্রায় উত্তর-পূর্ব ভারতের পণ্যের কন্টেনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে জাহাজ।