আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের পর পঞ্জাবের একটি কলেজে পড়াশোনা করা কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লা।
এক টুইটবার্তায় ওমর আবদুল্লা লেখেন, 'গত রাতে পঞ্জাবের একটি কলেজে কিছু কাশ্মীরি ছাত্রের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা শুনলাম। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি চরণজিৎ চান্নিজির কাছে অনুরোধ করছি যাতে তিনি পঞঅজাব পুলিশকে নির্দেশ দেন যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। পাশাপাশি পঞ্জাবে থাকা বাকি কাশ্মীরি পড়ুয়াদেরও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক।'
এদিকে পাকিস্তান ম্যাচ হারের পর শামিকে ট্রোল করা থেকে শুরু করে অনেক গালি দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই প্রেক্ষিতে ওমর টুইট করে লেখেন, ‘গতরাতে ম্যাচ হেরে যাওয়া দলের ১১ সদস্যের একজন ছিলেন মহম্মদ শামি। সতীর্থের পাশে যদি ভারতীয় ক্রিকেট দল না দাঁড়াতে পারে তাহলে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের জন্যে হাঁটু গেড়ে বসা মূল্যহীন।’
জানা যায়, পঞ্জাবের সাংরুরে ভাই গুরু দাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি ছাত্রের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের হোস্টেলের কক্ষে হামলা করা হয়। হামলাকারীদের অধিকাংশই পঞ্জাবে বসবাসরত উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের। আক্রান্ত এক ছাত্র হামলার লাইভ স্ট্রিমও করেন ফেসবুকে। শিক্ষার্থীদের উপর রড ও লাঠি দিয়ে হামলা করা হয়।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে তাঁরা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে এই হামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এই হামলার ঘটনায় অন্তত ছয় কাশ্মীরি ছাত্র জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।