বৃহস্পতিবার রাতেই উত্তর মিলেছে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
বৃহস্পতিবার শো-কজের উত্তর দেন আলাপন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রকে পাঠানো জবাবে আলাপন জানিয়েছেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজ করতেন। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই কাজ করতে হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে গোড়ার দিকে আলাপনকে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শো-কজ করে কেন্দ্র। কে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের চিঠিতে দাবি করা হয়, আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর কলাইকুন্ডা বায়ুঘাঁটিতে পৌঁছেছিলেন মোদী। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকের বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিন্তু কলাইকুন্ডায় পৌঁছানোর পর রাজ্যের প্রতিনিধিদের জন্য মোদীকে ১৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হয়। এক আধিকারিক বাংলার মুখ্যসচিবের থেকে জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিতে চান কিনা। তারপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসেন মুখ্যসচিব। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে চলেও যান।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে আলাপনকে বাংলার মুখ্যসচিব হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। সেইসঙ্গে আলাপনের বদলি-ইস্যুতে যে কেন্দ্র হাল ছাড়ছে না, তা বুঝিয়ে চিঠিতে লেখা হয়, কলাইকুন্ডায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের প্রধান নরেন্দ্র মোদীর পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত না থেকে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ (বি) ধারা লঙ্ঘন করেছেন আলাপনবাবু। সেই আইন ভঙ্গের জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্র।
কেন্দ্রের শো-কজ চিঠির পাঠানোর মধ্যেই নাম গোপন রাখার শর্তে এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানান, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘আলাপনবাবুকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর।’