ভূতাত্ত্বিকদের রায়ে নিমেষে চুরমার হয়ে গেল নাগাল্যান্ডে মাটির নীচে হিরে খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন। বিশেষজ্ঞরা জানালেন, ওই স্ফটিক আসলে কোয়ার্টজের টুকরো।
নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওয়ানচিং গ্রামে টিলার জঙ্গল সাফ করতে গিয়ে মাটির নীচে থাকা বেশ কিছু চকচকে স্ফটিকের টুকরো খুঁজে পেয়ে হিরে বলে মনে করেছিলেন গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ও ছবির সাহায্যে সেই খবর রটে যাওয়ার পরে তুমুল হইচই শুরু হয়। রাজ্যের অন্য প্রান্ত থেকে দলে দলে গুপ্তধন সন্ধানীরা ভিড় করতে শুরু করেন ওয়ানচিং গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষে বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত গুজব রটানোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ওয়ানচিং গ্রামে হিরে খুঁজে পাওয়ার খবর যাচাই করতে ভূতাত্ত্বিকদের চার সদস্যের একটি দলকে পাঠায় রাজ্য সরকার। ৩০ নভেম্বর পৌঁছানোর কথা থাকলেও শুক্রবার বিকেলেই তাঁরা গ্রামে প্রবেশ করেন। উদ্ধার করা স্ফটিকখণ্ড পরীক্ষা করে তাঁরা রায় দিয়েছেন, হিরে নয়, ওগুলি সাধারণ কোয়ার্টজ স্ফটিক ছাড়া কিছু নয়। আরও ভালো করে পরীক্ষা করার জন্য স্ফটিকের নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী সপ্তাহেই পাওয়া যাবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট, জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রায় শুনে হাঁফ ছেড়েছে প্রশাসন। তবে তাতে বিশেষ হতাশ হয়ে পড়েননি স্থানীয়রা। তাঁদের মতে, ‘হিরে কেমন দেখতে, সে অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। মাটি খুঁড়ে চকচকে স্ফটিকখণ্ড পাওয়ার পরে আমাদের কয়েক জন তা হিরে বলতে শুরু করে। বাকিরাও তা বিশ্বাস করে। ক্রমে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর চাউর হয়ে গেলে গ্রামে বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয় এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ জীবন বিঘ্নিত হয়। ভালোই হয়েছে বিশেষজ্ঞরা তাড়াতাড়ি এই রায় শুনেছেন। এবার গ্রামে শান্তি ফিরবে। এই নিয়ে হতাশার কোনও প্রশ্নই নেই।’