বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে ধনতেরাসের আগে ভারতে দুর্বল থাকল সোনা ও রুপো। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৬৯৫ টাকা। অন্যদিকে, কমেছে রুপোর দাম। এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪,৪৩৯ টাকা।
গত সেশনে সোনার দাম অনেকটা পড়েছিল। শুক্রবার ০.৭৫ শতাংশ কমেছিল সোনার দামের। আপাতত রেকর্ড দরের থেকে ৮,৫০৫ টাকা কম আছে সোনার দর। যা গত বছর অগস্টে ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। ধনতেরাসের আগে পাঁচদিন ভারতীয় বাজারে দুর্বল থেকেছে রুপোও। এমনিতে ধনতেরাস এবং দীপাবলির আগে ভারতীয় বাজারে সোনা এবং রুপোর চাহিদা বেড়েছে।
অন্যদিকে, শক্তিশালী মার্কিন ডলারের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারে কমেছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে ১,৭৮১.৭৮ ডলারে ঠেকেছে। মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৯৪.১৯২ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি সপ্তাহে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের নীতি সংক্রান্ত বৈঠকের আগে কিছুটা সতর্ক আছেন লগ্নিকারীরা। সেই পরিস্থিতিতে সোনার মতো কমেছে রুপোর দাম। এক আউন্স রুপোর দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৮১ ডলার।
সোনার দামের ভবিষ্যত
মোতিলাল ওসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী এক বছরে সোনার দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ১১-১২ মাসে তো ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,০০০-৫৩,০০০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘আগামী ১২ মাসে সোনার দাম নিয়ে আমরা আশাবাদী থাকছি এবং ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখব। আশা করা হচ্ছে যে শীঘ্রই সেদিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবণতা দেখাবে (সোনা)। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে এটাকে স্বল্প সময়ের জন্য হোঁচট বলা যেতে পারে। যা লগ্নিকারীদের হয়তো ক্রয়ের ভালো সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস যে আবারও (এক আউন্স) সোনার দাম ২,০০০ ডলারের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকী সর্বকালীন রেকর্ডও তৈরি করতে হবে।’