কিছুটা সস্তা সোনা, ৪৯,০০০ টাকার নীচে থাকল দাম, উর্ধ্বমুখী রুপো

কমল সোনার দাম। বাড়ল রুপো।

পতন সোনার, ৪৯,০০০ টাকার নীচে থাকল দাম, উর্ধ্বমুখী রুপো। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স)

মঙ্গলবার ভারতীয় বাজারে মিশ্র গতিপ্রকৃতির সাক্ষী থাকল সোনা ও রুপো। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৮,৮৪৬ টাকা। আর এক কেজি রুপোর দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫,৭৬০ টাকা।

গত সেশনে বাজার বন্ধের সময় সোনার দাম ০.৩৬ শতাংশ বেশি ছিল। তার আগে অবশ্য গত এক মাসের নিরিখে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল হলুদ ধাতু। আর রুপোর উত্থান হয়েছিল এক শতাংশের মতো। 

বিশ্ব বাজারে অবশ্য সোনার দাম বেড়েছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,৮৩৮.৫১ ডলার। গত সেশনে সোনার দাম এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণের একদিন আগে মঙ্গলবার ক্যাপিটল হিলে ডলার এবং আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে মুখ খুলবেন রাজস্ব বিভাগের সচিব পদপ্রার্থী জেন ইয়েলেন। করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কায় ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গত সপ্তাহে ১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক প্যাকেজের প্রস্তাবনা দিয়েছেন বাইডেন। তারইমধ্যে এক আউন্স রুপোর ১.১ শতাংশ কমে হয়েছে ২৫.০৫ ডলার।

জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসের রিসার্চের হরিশ ভি জানিয়েছেন, নয়া মার্কিন প্রশাসন দায়িত্বভার গ্রহণের পর আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে বলে আশা তৈরি হয়েছে। সঙ্গে লাগাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সহায়তা পেয়েছে সোনার দাম। তবে ক্রমশ শক্তিশালী হওয়া মার্কিন ডলার এবং গ্লোবাল ইক্যুইটির কারণে একধাক্কায় সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনায় লাগাম পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। তার ফলে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। বিশ্বের বড় দেশগুলির থেকে যে তথ্য মিলেছে, তাতে স্পষ্ট যে আর্থিক বৃদ্ধির হার সর্বত্র একই ধরনের নয়।