অসমের তিনসুকিয়া জেলার ডিগবয়ের কাছেই তিংরাই বাজার। শুক্রবার সেখানেই আচমকা গ্রেনেড বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে খবর এমনটাই। একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের সামনে এদিন আচমকা এই বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই হার্ডওয়ারের দোকানে থাকা এক ব্যক্তি সহ বিস্ফোরণে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দুজন মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মৃত এক ব্যক্তি ওই দোকানেরই এক কর্মচারী ও অপরজন দোকানের ক্রেতা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই বিস্ফোরণের পেছনে কোনও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে। তবে এব্যাপারে কোনও সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, 'ডিআইজিকে বলেছি ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে।' পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গোটা ঘটনা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন? বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দুজন যুবক বাইকে চেপে বাজারে আসে।তারাই ওই দোকান লক্ষ্য় করে গ্রেনেড ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোকানটি। বিকট শব্দে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও সেনা। কিন্তু কারা রয়েছে এই বিস্ফোরণের পেছনে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় কোনও সিসি ক্যামেরা রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। তিনসুকিয়ার ডেপুটি কমিশনার দিগন্ত সইকিয়া জানিয়েছেন, একটা গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়েছে বলে নিশ্চিত করা গিয়েছে। এব্যাপারে আরও তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, এই তিনসুকিয়াতে দিন তিনেক আগে গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। ১২ বছর বয়সী ওই কিশোর রাস্তার ধার থেকে ওই গ্রেনেডটি কুড়িয়ে পেয়েছিল। সেটিই বিস্ফোরণ হয়।এদিকে সূত্রের খবর নিরাপত্তা এজেন্সি ভুল করে ওখানে গ্রেনেডটি ফেলে রেখেছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। তার রেশ কাটার আগেই ফের এই বিস্ফোরণ।