গত জুন মাসে ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত হয় গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি হয় বিপুল। সেই ক্ষতি পূরণের জন্য কেন্দ্র কাছে ৭০০ কোটি টাকা চেয়েছিল গুজরাট সরকার। কিন্তু ৩১ জুলাই পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও টাকাই আসেছে। বুধবার বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
গত ১৬ জুন গুজরাটের ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায়। কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিমি। উপড়ে যায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি কার্যত তছনছ হয়ে যায় এলাকা।
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর চলাকালীন বানাসকাঁথা জেলার ভাভের বিধায়ক গেনিবেন ঠাকুর জানাতে চান, এই ঘূর্ণিঝড়ে পর কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল কিনা?
(পড়তে পারেন। ১০কোটি ভরতুকি পেয়েছে হিমন্তের স্ত্রীর সংস্থা! কংগ্রেসের অভিযোগ ওড়ালেন অসমের CM)
জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন্দ্রে কাছ থেকে ৭০০.৪২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩১ জুলাইন পর্যন্ত কেন্দ্রে কাছ থেকে কোনও অনুদান এসে পৌঁছয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রাজ্য সরকার প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল নিরাপদ স্থানে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ফলে উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে সমুদ্রের লোনা জল প্রবেশ করেছে। ফলে ওই সব গ্রামগুলিতে জমি চাষের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ২৪০ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণ করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে অর্থ চেয়ে আবেদন পাঠায় রাজ্য সরকার।