হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা।বিক্ষোভরত কৃ্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে করা হল লাঠিচার্জ। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়।পুলিশের এই লাঠিচার্জের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
হরিয়ানার হিসারে হানসি এলাকায় একটি কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন করতে যান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। মুখ্যমন্ত্রী আসার অনেক আগে থেকেই সেখানে কৃ্যকরা বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হচ্ছিল। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।বিক্ষোভকারী কৃষকদের আটকাতে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোতেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কৃ্যকরা।তখনই পুলিশ কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা শুরু করে। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়।গোটা ঘটনায় বেশ কয়েকজন কৃষক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে যে হাজার হাজার কৃষক লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা থেকে আসা কৃষকরা রয়েছেন।সিংঘু, তিকরি, গাজিপুর সীমান্তে কৃষকরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের একটাই দাবি, কেন্দ্রের আনা নতুন কৃষি আইন বাতিল করতে হবে ও কৃ্যকদের খাদ্যশস্যের ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত স্বীকৃতি দিতে হবে।কৃষকদের সেই আন্দোলন শুধু দিল্লি সীমান্তে নয়, সারা দেশে কম–বেশি ছড়িয়ে পড়ে।তবে যে সব রাজ্যে এই আন্দোলনের মাত্রা তীব্র আকার নেয়, তার মধ্যে উ্ল্লেখযোগ্য হল হরিয়ানা।
এর আগে কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।গত হরিয়ানার রোহতকে কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের রোষের মুখে পড়েন কৃষকরা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় বিজেপি সাংসদ অরবিন্দ শর্মার বাবার স্মরণে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। রোহতকে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কৃষকরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পাথরও ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জও করা হয়।