নির্বাচনী বন্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই বিজেপিকে চেপে ধরার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। আর সেই রেশ ধরে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে বললেন যে নির্বাচন কমিশন যখন তথ্য প্রকাশ করবে, তখন দেখতে হবে যে যাঁরা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে গেরুয়া শিবিরকে অনুদান দিয়েছেন, তাঁদের কতজনের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) তদন্ত চলছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে সাকেত বলেন, ‘নির্বাচনী বন্ড (প্রকল্প) খারিজ করে দেওয়ার যে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, সেটা গত পাঁচ বছরে (শীর্ষ আদালতের) সম্ভবত সবথেকে ঐতিহাসিক রায়। মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সব নির্বাচনী বন্ডের দাতা ও দলের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। যে ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলি বিজেপিকে নির্বাচনী বন্ড প্রদান করেছে, তাদের মধ্যে কতজনের বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআই পদক্ষেপ করছে, সেই বিষয়টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: Electoral Bonds Case: নির্বাচন বন্ড স্কিম অসাংবিধানিক, রায় SC-র, সামনে আসবে অনুদান দেওয়া সংস্থার নাম
আর যে রায়ের ভিত্তিতে সাকেত সেই মন্তব্য করেছেন, সেই রায়ে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেইসঙ্গে কারা রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচনী বন্ড প্রদান করেছে, সেটাও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে চারটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষে আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
১) নির্বাচনী বন্ড জারি করা বন্ধ রাখতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (এসবিআই)। যে ব্যাঙ্ক নির্বাচনী বন্ড জারি করে থাকে।
২) ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে (অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেওয়া হয়েছিল) কারা কারা নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, সেটার তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দিতে হবে এসবিআইকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে যে বন্ড ভাঙিয়েছে, সেগুলির পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে। কত বন্ড ভাঙানো হয়েছে, কত মূল্যের নোটে সেই টাকা তোলা হয়েছে, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
৩) আগামী ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে।
৪) এসবিআইয়ের থেকে যে তথ্য পাবে, তা আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশনকে প্রকাশ করতে হবে।