জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তিনি নিজে অবশ্য সাধারণ কর্মী হিসাবেই নিজেকে ঘোষণা করেন বার বার। তবে বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এটা নিঃসন্দেহে ঘোষণা করে দিল তৃণমূলের রাজনীতিতে মমতার পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যদি কেউ থাকেন তিনি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবং সেই গুরুত্ব এতটাই যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কৌশল ঠিক করতে জাতীয় স্তরে বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কার্যত এবারই প্রথম এই ধরনের মিটিংয়ে উপস্থিত হলেন ৩৪ বছর বয়সী অভিষেক।
খোদ মমতা এই মিটিংয়ের ডাক দিয়েছিলেন। ২২জনকে চিঠিও দিয়েছিলেন। তবে এদিনের মিটিংয়ে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই মিটিংয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কি জাতীয় রাজনীতিতে দলের কর্ম পরিচালনার স্টিয়ারিংটা অভিষেকের হাতেই তুলে দিয়েছেন মমতা? তবে যে সময় এই মিটিংটা ডাকা হয়েছিল তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এই সময়তেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে টানা তিনদিন জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীও সিবিআই ও ইডির আতস কাঁচের তলায়। সেই সময়তেই জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে উপস্থিত হলেন অভিষেক। কিন্তু কতটা সাড়া পেলেন তিনি তা নিয়ে বিতর্কটা থেকেই গিয়েছে।