পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রতিরোধ আইন থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতিবেশি দেশগুলির মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে এই মত পোষণ করলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলা। তাঁর কথায়, ‘ভারত নিজের পারমাণবিক মতবাদ ব্যবহারে ন্যূনতম প্রতিরোধ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।’
পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত তার পারমাণবিক মতবাদের অধীনে প্রথমে ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ব্রাজিলের নেতৃত্বে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনে শ্রিংলা বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিরোধ আইন বাধ্যতামূলক। উপকরণের বিষয়েও আলোচনা শুরুর অপেক্ষায় দেশ আশাবাদী। একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে ভারত তার পারমাণবিক মতবাদ অনুসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নিরস্ত্রীকরণের কর্মসূচির সম্মেলনে অস্ত্রের প্রতিরোধকে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘সমস্যার বিষয়গুলি সমাধান করার জন্য ভারত আলোচনার করতে আগ্রহী। তাঁর দাবি, পারমাণবিক অস্ত্র বা অন্যান্য পারমাণবিক বিস্ফোরক যন্ত্রের জন্য বিচ্ছিন্ন পদার্থের উৎপাদনের নিষিদ্ধকরণ প্রয়োজন। এই সম্পর্কিত আলোচনার জন্য ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে একটি অ্যাড–হক কমিটি হিসাবে সিডি–১২৯৯ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শ্রিংলা বলেন যে, ‘ভারত নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কিত সম্মেলনকে চাপের গুরুত্বের বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সক্ষম। ভারত সার্বজনীন, বৈষম্যহীন ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাশিয়ান ফেডারেশন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন শুরু করা চুক্তির সম্প্রসারণকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। তবে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে আমাদের দ্বারা অনেক কাজ করা প্রয়োজন।’