United Nations এর Human Rights Council এর প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে পাকিস্তান একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা আর বিকৃত তথ্য প্রচার করছে। পাকিস্তানে দিনের পর দিন ধরে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হচ্ছে তা থেকে গোটা দুনিয়ার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এবার মিথ্য়াচারের আশ্রয় নিয়েছে পাকিস্তান। এভাবেই বুধবার পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। জেনেভাতে ইউএনএর হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের অধিবেশনে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের একেবারে যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে তারও নানা দিক তুলে ধরেছেন ভারতের প্রতিনিধি। ভারতের প্রতিনিধির দাবি, পাক সরকারের মদতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ঘটনা হয় তার থেকে কাউন্সিলের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই পাকিস্তান নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতের দাবি, পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান, শিখ, হিন্দুদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ সেই দেশ। তাদের উপর নির্যাতন, জোর করে ধর্মান্তকরণ, জোর করে বিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও হচ্ছে।
জাতিগত ও ধর্মগতভাবে সংখ্যালঘুদের একেবারে বেছে বেছে খুন করার অভিযোগও উঠেছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে। ভারত সরাসরি দাবি করেছে, সংখ্যালঘুদের রোজকার জীবনযাত্রার উপর একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে। সিভিল সোসাইটি, সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার কর্মীদের কণ্ঠরোধ করারও চেষ্টা হচ্ছে পাকিস্তানে, দাবি ভারতের। মানবাধিকার রক্ষা যে কথা পাকিস্তান বলে তা যে পুরোপুরি ফাঁকা আওয়াজ তা এবার বোঝা যাচ্ছে। দাবি ভারতের। সারা পৃথিবী আজ জেনে গিয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের খোলাখুলিভাবে মদত দেয়। ভারতের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে কথা বলার কোনও অধিকার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক অপারেশের নেই। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে ভারত।