গোটা বিশ্বের ‘ওষুধের দোকান’ হল ভারত। আমেরিকার ৬০% ওষুধ ভারতে তৈরি হয়। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব।
এ দিন ভার্গব জানান, বিশ্বে বহু প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলির ৬০% ভারতেই তৈরি হয়। আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-সহ সারাবিশ্বে ব্যবহৃত অধিকাংশ ভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকর্তা ভারত।
তাঁর দাবি, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে উৎপাদিত বা উন্নত যে কোনও ভ্যক্সিনকে বাজারজাত করতে হলে ভারত বা চিনের সাহায্য নিতে হয়। এর কারণ, এই দুই দেশই পৃথিবীর ৬০ শতাংশ ভ্যাক্সিন তৈরি করে এবং বিষয়টি গোটা বিশ্বেরই জানা।
করোনাভাইরাস অতিমারীর ভ্যাক্সিন তৈরি সম্পর্কে এ দিন ভার্গব জানিয়েছেন, ভারতে বর্তমানে দুটি কোভিড ভ্যাক্সিন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, যা সাধারণের চিকিৎসায় প্রয়োগ করার জন্য যাবতীয় নিময়াবলী মেনে নিরলস পরিশ্রম করছেন বিজ্ঞানীরা। ভার্গব জানিয়েছেন, ‘ভারতে তৈরি দুটি দেশজ ভ্যক্সিনের কাজ চলছে এবং ইতিমধ্যে মেঠো ইঁদুর, ছোট ইঁদুর ও খরগোসের উপরে সেগুলির বিষক্রিয়াজনিত পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এই তথ্যগুলি ড্রাগস কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া-র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে, যার জেরে মানবদেহে প্রয়োগের প্রাথমিক পর্বের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।’তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে ওই দুই ভ্যাক্সিন তাদের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে। বিভিন্ন জায়গার প্রতিটিতে ১,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর উপরে সেগুলি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই গুলি প্রি-ক্লিক্যাল টেস্টিং। এর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাক্সিন দুইটির ক্লিনিক্যাল টেস্টিং পর্বে পৌঁছতে হবে। এ ছাড়াও পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে একাধিক ভ্যাক্সিন নিয়ে পরীক্ষা চলেছে। বিশেষজ্ঞরা দিন-রাত কাজ করে দ্রুত ভ্যাক্সিন তৈরির চেষ্টা করছেন। বিশ্বে ইতিমধ্যে ৫০ লাখের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণের বিল হয়েছেন। তাই গবেষকদের নৈতিক দায়িত্ব যত তাড়াতাটড়ি সম্ভব ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা।’