অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের রুটিন পরীক্ষায় সাফল্য পেল ভারত। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ওড়িশা উপকূল থেকে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। যা যাবতীয় মানদণ্ড পূরণ করেছে।
বুধবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, '২৩ নভেম্বর (বুধবার) ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে সাফল্যের সঙ্গে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলের প্রস্তুতিমূলক উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে রুটিন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পূর্ব-নির্ধারিত দূরত্বের ভিত্তিতে (ক্ষেপণাস্ত্রের) উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় যাবতীয় মাপকাঠি পূরণ করেছে।'
অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের ইতিবৃত্ত
অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের তৃতীয় সংস্করণ হল অগ্নি-৩ মিসাইল। ২০০৬ সালের ৯ জুলাই প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে সেই মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সাফল্য মেলেনি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্দিষ্ট নিশানায় আছড়ে পড়েনি সেই ক্ষেপণাস্ত্র। ওড়িশা উপকূল বরাবর সমুদ্রে পড়ে গিয়েছিল। সেই প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ফের পরীক্ষামূলকভাবে অগ্নি-৩ মিসাইলের (Agni-3 Missile) উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণেই সাফল্য পেয়েছিল ভারত। ২০০৮ সালে সফল হয়েছিল তৃতীয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণেও।
আরও পড়ুন: Missile: মাটি থেকে আকাশে উড়ল মিসাইল, গুড়িয়ে দিল টার্গেটকে,পরীক্ষায় সফল ভারত
অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ কেন?
অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের তৃতীয় সংস্করণ তথা অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র ৩,৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকেও নিখুঁতভাবে নিশানা করতে পারে। সেইসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রও বহন করতে সক্ষম অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র। যা দুই প্রতিবেশি দেশ - চিন এবং পাকিস্তানকেও চাপে রাখবে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই ওড়িশা উপকূল থেকে নয়া প্রজন্মের মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল অগ্নি প্রাইমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সফল হয়েছিল ভারত। যা ভারতেই তৈরি করা হয়েছে। ডিআরডিওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হল ১,০০০ কিলোমিটার থেকে ২,০০০ কিলোমিটার।