সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলির জন্য নতুন যে ডিজিটাল নিয়ম করা হয়েছে। তবে আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটেছে টুইটার সহ বেশ কয়েক সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট হিসেবে পরিচিত সংস্থা। শেষ পর্যন্ত বাকি সংস্থা সেসব মেনে নিলেও, টুইটার তাদের অবস্থানে অনড়। যা নিয়ে কেন্দ্রও টুইটারকে নোটিশ পাঠিয়ে 'শেষ সুযোগ' দেওয়ার কথা বলেছে। এই আবহে হিন্দুস্তান টাইমসের মুখোমুখি হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
কেন্দ্র এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর সংঘাত প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'ভারত একটি গণতন্ত্র। নিঃসন্দেহে সাধারণ ভারতীয়কে শক্তি জুগিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি। তবে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। ভারতে ব্যবসা করতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। ডিজিটাল সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করবে না ভারত।'
এদিকে এই নয়া আইন সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, 'এই নতুন নিয়মগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সম্পর্কিত নয়। সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে পারেন। তবে গালিগালাজ বা অশালীন ভাষা প্রয়োগ ঠিক নয়। যদি একজন মহিলা এই সংক্রান্ত অভিযোগ করেন, তাহলে আমাদের কী করা উচিত? যদি কোনও মা অভিযোগ করেন যে তাঁর মেয়ের এক্স বয়ফ্রেন্ড সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর মেয়েকে উত্তক্ত করছে। তাহলে আমরা কী করব?'
তিনি আরও বলেন, 'এই নিয়মগুলো মূলত তিনটি বিষয় করতে বলছে, সংস্থাগুলিকে একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন এবং সর্বক্ষণের গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করে দেওয়া যে কোনও কনটেন্ট ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রিমুভ করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে। মেসেজিং অ্যাপের ক্ষেত্রে কোনও ভাইরাল মেসেজ প্রথম কে লিখে ছড়াতে শুরু করেছেন, তার হদিশ খুঁজে বের করা, অর্থাত্ মেসেজ ট্রেসিংয়ের সুবিধা আনতে হবে।'
রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, 'হোয়াটসঅ্যাপের সাধারণ ব্যবহারকারীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরা এমন তথ্য খুঁজছি যা থেকে জানা যাবে যে দাঙ্গা, গণপ্রহারের মতো ঘটনা যেই সব বার্তার কারণে ঘটছে, সেই বার্তাগুলো কে প্রথম লিখেছে বা ছড়িয়েছে। আমরা তো এটা অস্বীকার করতে পারি না যে দিল্লির দাঙ্গার নেপথে সীমান্ত পারের উস্কানিমূলক অনেক বার্তা দায়ী ছিল।'