নিজামুদ্দিনে তাবলিঘি জামাতের সংগঠিত অনুষ্ঠান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখনও পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৩১১ জন ওখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খোঁজ চলছে প্রায় আট হাজারের, যারা ওই নিজামুদ্দিনের মারকাজে ছিলেন। কিন্তু এটা ছাড়াও দেশে বেশ কয়েকটি হটস্পট রয়েছে করোনাভাইরাসের।
ইন্দোর-
মধ্যপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত ৯৯ আক্রান্ত করোনায়, তার মধ্যে ৬৩ ইন্দোরে। কেবল শেষ তিন দিনে ৪৩টি কেস ধরা পড়েছে রাজ্যের সবচেয়ে জনবহুল শহরে। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষ থাকেন এখানে। ঘনবসতিপূর্ণ রানিপুরা, নয়াপুরা. দৌলতগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস।
প্রসঙ্গত, ইন্দোরে যাদের করোনা ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র দুইজন বিদেশে গেছিলেন।
কাসারগোড-
কেরালায় ১২৮টি করোনার কেস রিপোর্ট হয়েছে রাজ্যের উত্তরে অবস্থিত কাসারগোড থেকে। এখানে চিকিত্সকের সংখ্যা খুবই কম রাজ্যের অন্য অঞ্চলের তুলনায়। পশ্চিম এশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষ এখানে থাকেন। যাদের করোনা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৯০জন পশ্চিম এশিয়ায় গিয়েছিলেন।
প্রায় ৮০০০ জন যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির পর দেশে ফিরেছেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটি শোনেননি।
কয়েকজনের ক্ষেত্রে কোনও লিংকেজ খুঁজে পায়নি প্রশাসন, যা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। সম্পূর্ণ জেলা এখল লকডাউনে রয়েছে। কয়েকজন মানুষের ভুলের খেসারত সবাই দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ই চন্দ্রশেখরন, যিনি এই অঞ্চলের বাসিন্দা।
এসবিএস নগর-
শহিদ ভগত সিং নগর থেকে এখনও ১৫টি কেস ধরা পড়েছে। এই প্রত্যেকেই একজন ধর্মীয় গুরুর সঙ্গে যুক্ত যিনি সাত মার্চ জার্মানি থেকে এসেছিলেন।
১৫টি গ্রামে সভা করেন এই গুরু। পরে ১৯ মার্চ মারা যান তিনি ও জানা যায় করোনাভাইরাসে ভুগছিলেন তিনি। সেই ধর্মীয় গুরুর পরিবারের ১৪জন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর দুই বছরের নাতি। তবে গত পাঁচদিনে ওই অঞ্চল থেকে কোনও খবর আসেনি।
ভিলওয়ারা-
রাজস্থানের ভিলওয়ারায়, দুই চিকিত্সক করোনায় আক্রান্ত হন। মোট ২৫জন আক্রান্ত করোনায়। এরফলে কার্ফু জারি করা হয়েছিল জেলায়। ঘরবন্দি ২৮ লাখ মানুষ। আপাতত কোনও নতুন কেস না আসায় শিথিল করা হয়েছে কার্ফু।
ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০০, মারা গিয়েছেন পঞ্চাশ।