আইপ্যাকের সঙ্গে কি তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কে ছেদ পড়তে চলেছে? সোমবার সকাল থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরে বেরিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছিল, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএমএস বিনিময় হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের। পিকে নাকি মমতাকে জানিয়েছিলেন যে আইপ্যাক বাংলা, ত্রিপুরা আর মেঘালয়ে তৃণমূলের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়। এর জবাবে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। আর এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছিল আইপ্যাক-তৃণমূল বিচ্ছেদ নিয়ে। যদিও এবার আইপ্যাকের তরফে এই ধরনের কোনও মেসেজ বিনিময় বা তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রশান্ত কিশোর ঘনিষ্ঠ এক আইপ্যাক কর্মী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘এগুলো ভিত্তিহীন জল্পনা। কোনও টেক্সট মেসেজের আদান-প্রদান হয়নি। আইপ্যাক সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সাথে কাজ করছে। আমাদের লোকেরা এই মুহূর্তে গোয়াতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।’ এদিকে গোয়ায় তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির দায়িত্বে থাকা সাংসদ মহুয়া মৈত্রও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। হিন্দুস্তান টাইমসকে এই বিষয়ে মহুয়া বলেন, ‘আমরা আইপ্যাকের সাথে একযোগে কাজ করছি এবং আমরা তা চালিয়ে যাব। বাংলার মিডিয়ার একটি অংশ ভুল তথ্য দিচ্ছে৷’ যদিও এই বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট নয় যে গোয়া ছাড়া অন্য রাজ্যে আইপ্যাক এখনও তৃণমূলের সঙ্গে আছে কি নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এর আইপ্যাক কর্মী হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে দাবি করেছিলেন যে বর্তমানে বাংলায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে না আইপ্যাক। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেন গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাংলায় আর তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে না আইপ্যাক। যদিও কলকাতা পুরভোটের সময় সল্টলেকে আইপ্যাকের অফিসে কর্মব্যস্ততার অন্ত ছিল না। ১০৮টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিনও অনেক রাত পর্যন্ত সংস্থার কর্মীরা অফিসে ছিলেন। উল্লেখ্য, তৃণমূল-আইপ্যাক বিবাদের সূচনা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন থেকে। সেদিনও নাকি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের। ঘটনার সূত্রপাত, তৃণমূলের ওয়েবসাইট ও সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রার্থী তালিকা আপলোডকে ঘিরে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রাট। দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলে আসে প্রকাশ্যে। তরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলকে। এই আবহে এদিন মমতাকে আইপ্যাক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান।