সুরেন্দ্র পি গংগন
মহারাষ্ট্র ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোট এগিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও দাবি নেই। এই ভোট এগিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে তারা কেন্দ্রীয় দলের কাছে কোনও প্রস্তাব পাঠাননি।
তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্য়ে গুজব ছড়ানোর জন্য এসব করা হয়েছিল। বিধানসভা ভোট নিজের নিয়ম মেনেই হবে। এর সঙ্গে লোকসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। শিন্ডে-ফড়নবীশ সরকার খুব ভালো কাজ করছে। তারা তাদের প্রথম বাজেটও পেশ করেছে। পরবর্তী বাজেটও পেশ করা হবে। বিধানসভা আর লোকসভা ভোটকে একসঙ্গে করার ব্যাপারে আমরা কোনও প্রস্তাব পাঠাইনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের ৬ মাস পরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। সেক্ষেত্রে রাজ্যের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আনার ব্যাপারে কোথাও কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল ৪৮টি লোকসভা আসন মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া। বিধানসভা ভোটের জন্য আমরা কোনও প্রস্তুতি নিইনি। সস্তার প্রচার পেতে একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আসলে এটা করে মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের মধ্য়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছিল।
এর সঙ্গেই বিজেপি রাজ্য় নেতাদের দাবি, লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হবে কি না সেটা পুরোপুরি কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যাপার। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের দাবি, একসঙ্গে দুটো ভোট হলে লাভের তুলনায় ক্ষতিও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠিক কী প্রভাব পড়বে সেটা কেন্দ্রীয় নেতারা মূল্যায়ন করবেন। সেক্ষেত্রে তারা যদি দেখেন লোকসভা ভোট আর বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হলে সমস্যা হবে তবে সেটাকে তারা অনুমতি দেবে না।
এদিকে মহারাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। বিগত দিনে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল নিয়ে শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারাত্মক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা যায় শিন্ডে গোষ্ঠীর হাতে। এদিকে শিবসেনা থেকে ভেঙেই আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন শিন্ডে। এরপর বিজেপির সহযোগিতায় মহারাষ্ট্রে সরকার তৈরি করেছিল শিন্ডে গোষ্ঠী। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে শিন্ডে কি শিবসেনা নামটি ভোটের সময় ব্য়বহার করতে পারবেন? তিনি কি শিবসেনার প্রতীক ব্য়বহার করতে পারবেন?
তবে সম্প্রতি কমিশন শিন্ডে গোষ্ঠীর পক্ষেই সম্মতি জানিয়েছিল।
তবে এবার আসছে ভোটের প্রসঙ্গ। তবে বিজেপির রাজ্য নেতারা অবশ্য লোকসভা ও বিধানসভা ভোটকে একসঙ্গে করতে রাজি নন।