একদিক থেকে প্রবল যুদ্ধবিমান হানা, অন্যদিক থেকে পাল্টা রকেট হামলা। ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান হানায় প্যালেস্টাইনের বহু জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ প্যালেস্তিনীয়র। ঘটনায় পাল্টা হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের সংগঠন। ফলে গাজা ভূখণ্ড ফের একবার তেঁতে ওঠে। গত বছরের যুদ্ধের পর থেকে এই প্রবল সংহার এলাকাকে আরও তপ্ত করে তোলে।
ইজরায়েল বাহিনীর হানায় প্যালেস্টাইনের ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত এক স্বাস্থ্য সংস্থা। এক ৫ বছরের মেয়ের মৃত্যু সহ ১০ জনের মৃত্যুর খবর উঠে আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও ৭৯ জন আহত হয়েছেন। ইজরায়েল সেনা জানিয়েছেন অন্তত ১৫ জন জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে এই অপারেশনে। ইজরায়েলের অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লেপিড জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তায় কিছু আশঙ্কা থাকার জন্য এমন হামলার রাস্তা নিতে বাধ্য হয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে গাজা সীমান্ত গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। আর ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের সংগঠনের এই যুদ্ধে যে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডার মারা গিয়েছেন তা নিশ্চিত করেছে দুই দেশই। মূলত প্য়ালেস্তিনীয় ইসলামিক জেহাদের সঙ্গে সংঘাত ইজরায়েলের। গাডা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাতায়াত নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল সরকার। তখনই প্যালেস্টাইনের ইসলামিক জেহাদ পাল্টা ইজরায়েলের জন্য একটি বড়সড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান হামলায় জঙ্গি তায়াসির আল জাবারির মৃত্যু হয়। পড়ুন অন্যরকমের খবর-সঠিক ডেট-এ পিরিয়ড হচ্ছে না? উপকার পেতে এই ফল, মশলা নিয়ম মেনে খান
ইজরায়েলের দাবি, সেদেশের সেনার ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদ। যার 'কাডস ব্রিগেড' এর নেতৃত্বে ছিলেন তায়াসির আল জাবারি। আপাতত এই ঘটনার জেরে সব মিলিয়ে গাজায় ফের যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে নতুন করে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জেরজালেমের আল আকসায় ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর থেকেই ইজরায়েলি বাহিনী ও হামাসের সংঘাতে ২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হন।