যাবতীয় জল্পনাকে সত্যি করে কংগ্রেসেই যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। সিপিআই ছেড়ে রাহুল গান্ধীর হাত ধরলেন তিনি। ভগৎ সিংয়ের জন্মদিনেই কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া। মাথায় হলুদ পাগড়ি পড়ে রাহুল গান্ধীর হাত ধরেন প্রাক্তন সিপিআই নেতা। এদিন গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানিও দিল্লিতে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর পাশে ছিলেন। তবে তিনি সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেননি। তিনি জানিয়েছেন,' নির্দল বিধায়ক হওয়ার জন্য আমি টেকনিকাল কারণে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি না। কংগ্রেসে যোগ দিলে আমি বিধায়ক হিসাবে কাজ চালাতে পারব না। তবে কংগ্রেসের আদর্শের আমি অংশীদার।' এদিকে এদিন সকাল থেকেই দিল্লিতে কংগ্রেস অফিসের বাইরে কানহাইয়া কুমারকে স্বাগত জানাতে পোস্টারে ছয়লাপ করে ফেলা হয়। কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের মধ্যেও যথেষ্ট উৎসাহ ছিল। এরপর দিল্লির শহিদ-ই-আজম ভগৎ সিং পার্কে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেই মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উপরে তুলে ধরেন কানহাইয়া কুমার।
বিগত দিনে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন কানহাইয়া। সেই সময় তিনি নজর কাড়েন জাতীয় রাজনীতির আঙিনায়। তাঁর বাগ্মীতায় মুগ্ধ হন অনেকেই। মোদী বিরোধিতার সুর সপ্তমে তুলে তিনি বাম রাজনীতিতে নতুন করে জোয়ার আনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই জোয়ারে পুরোপুরি পাল তোলার আগেই তিনি চলে গেলেন কংগ্রেসে।
কয়েকদিন আগেই তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপর থেকেই নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। এদিকে গুজরাতের এমএলএ জিগনেশ মেভানি আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি ও কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে যোগ দেবেন। একেবারে নির্দিষ্ট দিনেই তাঁরা যোগ দিলেন হাত শিবিরে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের জেরে বিহারে হাত আরও শক্ত হবে। জেএনইউর প্রাক্তনী তথা কংগ্রেস বিধায়ক শাকিল আহমেদ খান বলেন, কানহাইয়া একটা মিশন নিয়ে এসেছেন। হয় কংগ্রেস নেতাদের জনতার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে, নয়তো আরও কোণঠাসা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এক কংগ্রেস নেতার দাবি, একেবারে গরিব খেটে খাওয়া পরিবার থেকে উঠে এসেছেন কানহাইয়া। কংগ্রেস এতে বাড়তি সুবিধা পাবে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল বলেন, 'কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগদানের জেরে দলের ক্য়াডারদের উৎসাহ বাড়বে। তিনি বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের প্রতীক।'