বলা হচ্ছে 'শতাব্দীর সেরা রেড (তল্লাশি)' অভিযানটি চলেছে কর্ণাটকে। সদ্য সেখানে কর্ণাটক অ্যান্টি করাপশন ব্যুরোর তল্লাশি অভিযানে কোটি কোটি টাকা নয় ছয়-এর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বেঙ্গালুরু ডেভেলপমেন্ট অথরিটিতে বহুকাল মালি হিসাবে নিযুক্ত জনৈক শিবালিঙ্গাইয়ার সম্পত্তি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে তাজ্জব হওয়ার মতো তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, শিবালিঙ্গাইয়ার সম্পত্তিতে রয়েছে ৩ টি বাড়ি, ৫ টি জমি। এই জমির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক জমি ও কৃষির জমি। এছাড়াও তাঁর সম্পত্তিতে রয়েছে কোটি টাকা। এই সমস্তই তল্লাশি অভিযান থেকে জানা গিয়েছে। জমি, বাড়ি, টাকা ক্রোক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে ২১ জন সরকারি আধিকারিকের সম্পত্তি সংক্রান্ত তল্লাশিতে নেমেছে কর্ণাটক অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো। তল্লাশি অভিযানে নামে ৩০০ অফিশিয়াল। ৮০ টি জায়গায় চলেছে তল্লাশি অভিযান। উল্লেখ্য, এই রাজ্যসরকারি কর্মীদের আয়ের তুলনায় সম্পত্তিতে রয়েছে অসঙ্গতি। আর সেই অভিযোগে চলছে তল্লাশি অভিযান। এই তল্লাশি অভিযান যতই এগোচ্ছে ততই 'কেঁচো খুঁড়তে কেউটে' উঠে আসছে। আরও পড়ুন- পিরিয়ডে খুব বেশি ব্লিডিং হয়? হাতের কাছে রাখুন আদা, দারচিনি! কিছু ঘরোয়া টিপস রইল
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরু ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ওই মালির জমি, বাড়ি তল্লাশি করে ৫১০ গ্রাম সোনার গয়না, ৭১০ গ্রাম রুপোর জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ১০,০০,০০০ টাকার বাড়ির জিনিসপত্র, বাড়ি থেকে ৮৬ হাজার টাকার নগদ উদ্ধার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে ১ একরের জমি, ২ টি ২ চাকার গাড়ি। এই তল্লাশি অভিযানে কর্ণাটকের সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িও তল্লাশি করা হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত সচিব, ভূমি ও রাজস্ব বিভাগের বহু আধিকারিকের সম্পত্তি রয়েছে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে।