কর্ণাটকের মাইসোরে মঙ্গলবার একটি চার্চে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে উঠেছে। এমনকী শিশু যীশুখ্রীষ্টের মূর্তিতেও তারা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।খ্রীষ্টমাসের দুদিন পরেই ওই চার্চে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ।এদিকে হামলা চালানোর পরে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।পুলিশ ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু করেছে।
এদিকে ওই চার্চে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশ সেই ক্য়ামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। এদিকে চার্চের একজন স্টাফ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এই তাণ্ডবের বিষয়টি টের পান। এরপরই তিনি যাজককে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, চার্চের পেছনের দরজা ভেঙে তারা ভেতরে ঢুকেছিল। এরপর তারা এই কীর্তি ঘটিয়েছে।
মাইসোরের পুলিশ সুপার সীমা লটকর জানিয়েছেন, কাছে যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেখান থেকে সূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যেটা মনে হচ্ছে এটা চুরির ঘটনা। কারণ তারা টাকা পয়সা নিয়েও চম্পট দিয়েছে। চার্চের মধ্যে একটি ডোনেশন বাক্স ছিল। সেটা নিয়েও তারা পালিয়ে গিয়েছে।
এদিকে গত কয়েকমাস ধরে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে সংক্রান্ত নানা অভিযোগ উঠছিল। এনিয়ে একাধিক চার্চ ও খ্রীষ্টান সংগঠনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল। তবে কি তারই পরিণতিতে এই কাণ্ড!
গোটা দেশজুড়েও এই ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। গত শুক্রবার লাঠি হাতে একদল লোক উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে খ্রীষ্টানদের একটি কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছিল। সেখানেও জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে সোমবার উত্তরপ্রদেশে জোর করে খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এদিকে কর্ণাটকের ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল পাস করেছে চলতি বছরেই। সেখানে জোর করে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তবে শুধু কর্ণাটক নয়,উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যেও জোর করে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।এদিকে গত বছরই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছিলেন এই ধরনের আইন তৈরির ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
এদিকে সেই কর্ণাটকেই একেবারে চার্চে ঢুকে হামলার অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে চুরিই যদি মূল উদ্দেশ্য থাকে তবে তারা কেন যীশুর মূর্তিতে ভাঙচুর চালালো?
এই ঘটনায় বাস্তবে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।