কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক থামার নাম নেই। যদিও বিতর্কে জল ঢালতে নির্দেশিকা জারি করে কর্ণাটক সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রি ইউনির্ভাসিটির আওতায় যে সরকারি কলেজগুলি রয়েছে সেখানে কলেজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে পোশাক নির্দিষ্ট করেছে সেটাই থাকবে। আর যেখানে এই পোশাক বিধি বলে কিছু নেই, সেখানে পড়ুয়ারা এমন পোশাক পরতে পারেন যাতে করে সম্প্রীতি, সমতা ও আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে। তবে এরই মাঝে এবার সরকারকে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক কানিজ ফাতিমা দাবি জানালেন যে ছাত্রীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেন না হয়। ফাতিমা দাবি জানান, প্রয়োজনে ইউনিফর্মের রঙের সাথে মিলিয়ে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে উডুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে দেওয়া হয়েছিল গত ডিসেম্বরে এরপর থেকে পরপর কলেজে নিষিদ্ধ হয়েছে হিজাব। এর প্রতিবাদে বিধায়ক কানিজ ফাতিমা শনিবার একটি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনিও বিধানসভায় হিজাব পরেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন যে সরকার তাঁকে বাধা দেওয়ার সাহস করে দেখাক।
এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এভাবে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এভাবে দেশের মেয়েদের ভবিষ্যৎ চুরি করা হচ্ছে। এদিকে কর্ণাটক বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করে ভালো হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তালিবানি চলবে না। এই আবহে শনিবার কর্ণাটক এডুকেশন অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করে সরকার জানায়, বাধ্যতামূলকভাবে পোশাকের ক্ষেত্রে একটা সমতা আনতে হবে।