বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসা ট্রেনের দিকে ছুটে যাচ্ছে অপর একটি ট্রেনের ইঞ্জিন। কোনও দুর্ঘটনার আগের দৃশ্য বা সিনেমার শুটিং নয়। বাস্তব... এই দু’টি ইঞ্জিনের একটিতে আবার থাকবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে! রেলের দুর্ঘটনা ঠেকাতে তৈরি হয়েছে ‘কবচ’। কবচের পরীক্ষা হবে আজ। উল্লেখ্য, অ্যান্টি-কোলিশন প্রযুক্তির এই কবচ 'এসআইএল৪' সার্টিফায়েড। যে সংশাপত্রের অর্থ ১০ হাজার বছরে একবার সম্ভাব্য ভুল করতে পারে এই প্রযুক্তি।
'আত্মনির্ভর ভারত' প্রকল্পের আওতায় এই 'কবচ' তৈরি হয়েছে ভারতে। ২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্কে বসতে চলেছে বিশ্বমানের প্রযুক্তি 'কবচ'। কলকাতা ও দিল্লির রুটের ২৬০ কিলোমিটার রেলপথেও বসবে কবচ। রেডিও কমিউনিকেশন, মাইক্রোপ্রসেসার, জিপিএস প্রযুক্তিতে এই গোটা বিষয়টি কাজ করে। উল্লেখ্য, একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসার ফলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাগুলি ঘটে। পাশাপাশি সিগন্যালের সমস্যা থেকে লাইনচ্যূত হওয়ার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুই ক্ষএত্রেই দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করবে কবচ।
জানা গিয়েছে, কবচ প্রযুক্তিতে দু’টি ভিন্ন ডিভাইস থাকবে। একটি ডিভাইস থাকবে লাইনে আর অন্য ডিভাইসটি থাকবে ইঞ্জিনে। বিপদ বুঝলে লাইন থেকে সংকেত যাবে ইঞ্জিনের ডিভাইসের কাছে। সেই অনুযায়ী ইঞ্জিনের ডিভাইস নিজে থেকেই ব্রেককষে ট্রেন থামিয়ে রেল দুর্ঘটনা রুখে দেবে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ময়নাগুড়িতে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এর পর কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কবচের ঘোষণা করেছিলেন। এদিকে বিমানের মতোই ট্রেনেও ব্ল্যাক বক্স বসানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে ট্রেনে। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই যন্ত্রের মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে। এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ক্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিয়ো সিস্টেম।