কেরলের মন জয়ে একেবারে ময়দানে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেরলে গিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের যাজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে অত্যন্ত খুশি সাইরো মালাবার চার্চের আর্চবিশপ কার্ডিনাল জর্জ অ্যালেনচেরি।তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কেরলের মানুষ মোদীর প্রশংসা করেছেন। তাঁরা এখন উন্নয়নের প্রত্যাশী।
একাধিক চার্চের সাত বিশপের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মোদী। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের তুলনাতেও এভাবে মোদীর সঙ্গে বিশপদের সাক্ষাৎকারকে ঘিরে যেন বেশি আগ্রহ ছিল মানুষের।
এদিকে কেরলে বর্তমানে ১৮ শতাংশ খ্রীষ্টান রয়েছেন। কিন্তু এতদিন বিজেপি কেরলে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারত না। কিন্তু এবার ২০২৪ এর আগে কেরলে এবার হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। আসলে খ্রীষ্টানদের দূরে সরিয়ে রাখা নয়, খ্রীষ্টানদের মন জয়ে এবার উদ্যোগী হচ্ছে বিজেপি। আর তারই শুরুটা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তিনি যে আপাতত পুরোমাত্রায় সফল হলেন তা বলাই বাহুল্য।
মালাবার চার্চের আর্চবিশপ কার্ডিনাল জর্জ অ্যালেনচেরি জানিয়েছেন উত্তর ভারতে চার্চের উপর মিশনের কাজে নানা ধরনের আক্রমণ হয়েছে। এনিয়ে আমরা উদ্বেগে রয়েছি। এটা আমরা জানিয়েছি। দলিত খ্রীষ্টানদের অধিকার, গরিব ও প্রান্তিকদের অধিকার, কৃষক, মৎস্যজীবী ও উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নানা সমস্য়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মালাবার চার্চের আর্চবিশপ কার্ডিনাল জর্জ অ্যালেনচেরি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মন দিয়ে সব কথা শুনেছেন। খ্রীষ্টানদের উন্নতিতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কেরলের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন। আমরা আরও উন্নয়নের প্রত্যাশী।
এদিকে দলের শেষ জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ে মোদী প্রান্তিক ও সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁঁছনর ব্যাপারে মতামত দিয়েছিলেন। তিনি দিল্লিতে চার্চে যাওয়া ওই সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনার উপর জোর দিয়েছিলেন।
এদিকে কেরলেও বিজেপি নেতারা একেবারে দল বেঁধে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করা শুরু করেছেন। তাঁদের নানা অভাব অভিযোগের কথাও তারা শুনছেন।