বিভেদ যেন বিবাদ না হয়ে ওঠে- লাদাখ নিয়ে সামরিক বৈঠকের আগে বার্তা দিল্লি-বেজিংয়ের
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Jun 2020, 10:19 PM ISTশনিবার লিউট্যানেন্ট জেনারেল পর্যায় বৈঠক।
শনিবার লিউট্যানেন্ট জেনারেল পর্যায় বৈঠক।
বিভেদকে বিবাদে পরিণত হতে দেওয়া চলবে না, ভারত-চিন কূটনৈতিক বৈঠকে এটাই ছিল মূল থিম। লাদাখে অচলাবস্থা নিয়ে দুই দেশের সেনা কম্যান্ডাদের বৈঠকের এক দিন আগে এই বার্তাই এল বেজিং ও নয়াদিল্লির তরফ থেকে।
সীমান্তে গত মাসের শুরু থেকে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে, তারপরে এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন যুগ্ম সচিব ( পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব। চিনের হয়ে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল উ জিয়াংঝাও। বর্তমান ঘটনাক্রম সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা হয় বলে জানিয়েছে ভারত।
সরাসরি সীমান্তে চলা অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই কথা কোনও দেশ না জানালেও, সেটাই যে মূল বিষয় ছিল সেটা আকারে ইঙ্গিতে স্পষ্ট। ভারতীয় বিবৃৃৃতিতে বলা হয়েছে যে উভয় দেশ একে অপরের সংবেদনশীলতার বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। অন্যদিকে চিন বলেছে যে দুই দেশ যেন একে অপরের কাছে বিপদের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় ও একে অপরের মধ্যে বিশ্বাস বৃদ্ধি করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং সো লেকের কাছে চার জায়গায় মুখোমুখি ভারত ও চিন সেনা। কিছু চিন সেনা যে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছে, সেটাও স্বীকার করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যদিও তিনি জানিয়েছেন যে ভারত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে।
শনিবার লিউট্যানেন্ট জেনারেল পর্যায়ে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন ১৪ কর্পসের কম্যান্ডিং অফিসার হরিন্দার সিং। তার আগেই হল এই কূটনৈতিক পর্যায় বৈঠক হল। তারপর ভারত বলে যে আলোচনার মাধ্যমে বিভেদ মিটিয়ে ফেলা উচিত একে অপরের সংবেদনশীলতা, উদ্বেগ ও উচ্চাকাঙ্খার কথা মাথায় রেখে। বিভেদ জেন বিবাদ না হয়ে ওঠে, এই বার্তা দিয়েছে ভারত।
দুই দেশ জানিিয়েছে যে শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে যে ভারত ও চিনের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে তা বিশ্বহিতে হবে। ডোকলামে অচলাবস্থা মেটার পর উহানে যখন মোদী ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হয়. তখন এই বার্তা দিয়েছিলেন দুই নেতা।
অন্যদিকে চিনের পক্ষ থেকে ম্যান্ডারিনে বলা হয় যে দুই দেশ একে অপরের জন্য যেন থ্রেট না হয়ে ওঠে, তারা যেন উন্নয়নের সুযোগ দেয় একে অপরকে। বিবাদ ঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ওপর জোর দিয়েছে চিনা পক্ষ। ভারত-চিনের ৭০ বছরের সম্পর্ক যাতে ঠিক দিকে যায়, সেই নিয়েও বার্তা দিয়েছে বেজিং।
এদিন করোনা নিয়েও কথা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ট্রাম্পের প্রসঙ্গে সরাসরি না এলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যাতে কোনও চাপ ছাড়া ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে, তার ওপর জোর দিয়েছে চিন।