স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং দেশের অর্থনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে পুরুষের চেয়ে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় নারী। লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক তালিকার ১১২তম স্থান পেল ভারত।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ২০১৮ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সমীক্ষার উপর তৈরি রিপোর্টে লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপাত সবচেয়ে কম আইসল্যান্ডে। এই কারণে তালিকার শীর্ষে নাম রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রের।
২০১৮ সালের সমীক্ষায় ১০৮তম স্থানে ছিল ভারত। তালিকায় তার অগ্রজদের মধ্যে ছিল চিন (১০৬), শ্রী লঙ্কা (১০২), নেপাল (১০১), ব্রাজিল (৯২), ইন্দোনেশিয়া (৮৫) এবং বাংলাদেশের (৫০) মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
লিঙ্গ বৈষম্য তালিকায় ভারতের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে এমন দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাকিস্তান (১৫১), ইরাক (১৫২) এবং নিকৃষ্টতম ইয়েমেন (১৫৩)। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নারী-পুরুষের মধ্যে এই ফারাক ঘোচাতে আনুমানিক ৯৯.৫ বছর সময় লাগবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই ব্যবধানদূর করতে অন্তত ৯৫ বছর সময় লাগবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে অর্থনৈতিক সুযোগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান মিটতে সময় লাগবে ২৫৭ বছর, জানিয়েছে রিপোর্ট। সমাধান হিসেবে বলা হয়েছে, ক্লাউড কম্পিউটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডেটা এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে মেয়েদের আরও বেশি অংশগ্রহণ পুরুষের সঙ্গে তাঁদের ফারাক কমাতে সাহায্য করবে।
২০০৬ সালে প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রথম লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত রিপোর্টে তুলনায় কিছুটা ভালো, ৯৮তম স্থানে ছিল ভারত। কিন্তু এর পর থেকে মূলত চারটি ক্ষেত্তে ভারতে পুরুষের তুলনায় নারী অগ্রগতির হার কমতে দেখা যায়।
রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তালিকার ১৮তম স্থানে থাকলেও স্বাস্থ্য ও অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে ১৫০তম স্থানে নেমে গিয়েছে দেশ। শিক্ষা ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে ভারতের স্থান তালিকায় যথাক্রমে ১৫০তম এবং ১৪৯তম।
এ ছাড়া রিপোর্টে ভারতীয় প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সুযোগের হারও অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।