আমদানিকৃত বিলিতি মদের উৎপাদন শুল্ক ১৫০ শতাংশ কমাল মহারাষ্ট্র সরকার। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, আন্তঃরাজ্য চোরাচালানে রাশ টানতেই শুল্ক কমানোর পথে হেঁটেছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। তার ফলে রাজ্যের কোষাগারে বছরে বাড়তি ১৫০ কোটি টাকা জমা পড়বে।
আবগারি দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আমদানিকৃত রাম, ভোদকা, ব্র্যান্ড এনং হুইস্কির উপর থেকে উৎপাদন শুল্ক ৩০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫০ শতাংশ করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমদানিকৃত মদ এবং যে দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে, সেই দেশে মদ বোতলজাত করা হলে তবেই সেই উৎপাদন শুল্কের ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে। যে বিলিতি মদ ভারতে বোতলজাত করা হচ্ছে, তাতে উৎপাদন শুল্কের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় মিলবে না। যে নিয়ম কার্যকর হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে।
রাজ্য সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তের ফলে বিলিতি মদের চোরাচালানে রাশ টানা যাবে। এমনিতে প্রতিবেশী বিভিন্ন রাজ্যের তুলনায় আমদানিকৃত বিলিতি মদের উপর অনেকটা বেশি উৎপাদন শুল্ক চাপাত মহারাষ্ট্র। তার ফলে ভিন রাজ্য থেকে পাচারের প্রবণতা বেশি ছিল। এবার একধাক্কায় উৎপাদন শুল্ক ১৫০ শতাংশ কমানোর ফলে আমদানিকৃত বিলিতি মদের দাম কমবে। বাড়বে বিক্রি তার ফলে চালানোর প্রবণতা হ্রাস পাবে। যা আখেরে রাজ্যের কোষাগারের পক্ষে লাভজনক হবে।
সম্প্রতি একই কারণে মদের দাম কমিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, এতদিন বিভিন্ন প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে দাম কম হওয়ায় সেখানে থেকে পশ্চিমবঙ্গে বেআইনিভাবে মদ আনা হত। এবার মদের দাম কমে যাওয়ায় সেই পাচার বন্ধ হবে। তাতে আখেরে লাভ হবে রাজ্যের। সঙ্গে সুরক্ষিত হবে জনস্বার্থের বিষয়টিও। যদিও দাম কমলে রাজ্যের কোষাগারে প্রভাব পড়বে না? প্রশাসনিক মহলের দাবি, গুণগতভাবে ভালো মদের দাম কমে যাওয়ার ফলে সুরাপ্রেমীদের মধ্যে চাহিদা বাড়বে। ফলে বাড়তি মদ বিক্রি হবে। বিভিন্ন ধরনের মদের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ দাম কমানো হয়েছে, তা পুষিয়ে যাবে। পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে বেআইনিভাবে মদ নিয়ে আনার প্রবণতায় লাগাম পড়লেই রাজ্যে বিলিতি মদের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। যা রাজ্যের কোষাগারের পক্ষে ভালো।