রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন পেশ মঞ্চে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লকেটকে গুরুত্ব দেওয়া না হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরাবরই তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে এর আগেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন লকেট। আর এবার রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন পেশের মঞ্চেও দেখা গেল লকেটকে। লকেট ছাড়াও চারজন বাংলার চারজন আদিবাসী বিজেপি নেতা এই অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছেন।
বিজেপির পক্ষ থেকে আগেই ঠিক করা হয়েছিল যে দ্রোপদী মুর্মুর মনোনয়ন দাখিল শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরা হবে। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ এবং নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। লকেটের পাশাপাশি বাংলা থেকে হাজির হয়েছিলেন জন বার্লা, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর। গতকাল হিন্দি পঞ্জিকা মেনে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ মনোনয়ন দাখিল করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা প্রমূখ শীর্ষ নেতারা। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে যে ১০০ জন প্রস্তাবকের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে প্রথম প্রস্তাবকের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, সাংসদ কুণাল হেমব্রমেরও নাম ছিল।
প্রসঙ্গত, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে লকেটের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যে কারণে বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লকেটকে খুব একটা দেখা যায় না। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরাবরই লকেটকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এর আগে উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি। তারপর রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।