আজ, বুধবার কংগ্রেসের কাছে দিনটি বেশ দুঃখের। কারণ একদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট করতে চাইলেন না। স্পষ্ট নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিলেন। তেমনই আজ স্পষ্টভাষায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্জাবের সমস্ত লোকসভা আসনে তাঁরা একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সুতরাং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হচ্ছে না সেটা ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হল। আর আজ এই পর পর ধাক্কা খেয়ে কংগ্রেস এখন দিশেহারা। ইন্ডিয়া জোট প্রশ্নের মুখে। বিজেপি সুবিধা পাবে জোট ভেঙে গেলে। তাই এখন সুর নরম করছে কংগ্রেস।
এদিকে জোট ইস্যুতেপাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান রীতিমতো অনীহা প্রকাশ করেন। যা নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তোলপাড় কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আম আদমি পার্টি ৪০ জন প্রার্থীর নাম বাছাই করেছে। এখানের ১৩টি লোকসভা আসনের জন্য। আমরা এখানে একটা সমীক্ষা করব প্রার্থী করার আগে। কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হবে না।’ কংগ্রেস এখানে ১৩টির মধ্যে ৬টি আসন চেয়েছিল। এবার যে কথা আপের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল তা আখেরে কংগ্রেসের কাছে সেটব্যাক।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং আপ ধীরে চলো নীতি নেওয়ায় বেশ চাপেই পড়ে গেল কংগ্রেস। কারণ ভোটের পর বিষয়টি ভাবার কথা বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও অনীহা প্রকাশ করলেন আসন সমঝোতা নিয়ে। সুতরাং বাংলা এবং পঞ্জাব দুটি রাজ্যই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বুঝিয়ে দিল কংগ্রেসের দাদাগিরি মানা হবে না। যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তাছাড়া বাংলায় কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং পঞ্জাবে অমরিন্দর রাজা সিং জোট চান না। তাঁরা ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধেই কথা বলছেন বারবার।
আরও পড়ুন: জল পরিষেবা বন্ধ থাকছে দক্ষিণ কলকাতায়, পুরসভা থেকে জারি হয়েছে নোটিশ
এছাড়া যখন ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয় তখন নয়াদিল্লিতেও আসন চেয়েছিল কংগ্রেস। সেটাও কতটা হবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলার ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব আফটার ইলেকশন ভাবব। আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি। আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওরা প্রথম দিনই প্রত্যাখ্যান করেছে। তখন থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা একা লড়ব। আমরা ইন্ডিয়া জোটে আছি। কখনও একবারও জানিয়েছে, দিদি আমি আপনার রাজ্যে যাচ্ছি? না, জানায়নি। তাই বাংলার ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব আফটার ইলেকশন ভাবব। আমরা সেকুলার পার্টি। আমরা বিজেপিকে হারানোর জন্য যা করার করব।’