গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে ইতিমধ্যে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনেও টিকিট দেওয়া হবে। ঘাসফুল শিবির সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
রাজ্যসভায় অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে দেওয়া আসনে ফেলেইরোকে মনোনীত করেছে তৃণমূল। সংসদের উচ্চকক্ষে ফেলেইরোকে নির্বাচিত করতে ঘাসফুল শিবিরের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথাই নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে তৃণমূলের। এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করবে তৃণমূল। আগামী বছর গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি লড়াই করবেন।’
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে তৃণমূলে যোগ দেন ফেলেইরো। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে গোয়ায় যে লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল গিয়েছে, তা পূরণের ক্ষেত্রে ফেলেইরো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘অস্ত্র’ হতে চলেছেন। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের সময়ও তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে ঘুরেছেন। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভায় ফেলেইরোকে পাঠিয়ে তৃণমূল গোয়ায় সংগঠন আরও মজবুত করার পরিকল্পনা করছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত।
উল্লেখ্য, গত মাসে গোয়ায় গিয়ে মমতা বলেছিলেন, 'গোয়ায় নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে। বেকারত্বের সমস্যা রয়েছে। বিজেপি অনেকদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু কিছু করেনি। এখানে মৎস্যশিল্প, যাতায়াত ব্যবস্থা ও পর্যটন শিল্পেও অনেক সমস্যা রয়েছে। আগামিদিনে তৃণমূল এই সব সমস্যা সমাধানের উপর বিশেষ জোর দেবে। কেন্দ্রের দাদাগিরি এখানে চলবে না। কেন্দ্র যাতে দাদাগিরি না ফলাতে পারে, সেজন্যই এখানে আসা।’ কেন্দ্রের নীতির সমালোচনা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, 'পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ছে। রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়ছে। সেইকারণে বিজেপিকে চাই না। গোয়ার মানুষ যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেন, তাহলে তৃণমূলও গোয়ার মানুষের পাশে দাঁড়াবে। এখন দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসকেই চাই।'