‘অবৈধ’ নির্মাণ যাতে ভাঙতে না পারে সরকার, সেজন্য মন্দির বানিয়ে ফেললেন এক ব্যক্তি। এমনই জানানো হল সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বেআইনি গোডাইন যাতে ভাঙতে না পারে সরকার, তাই বিনা অনুমতিতে বাড়তি একটি তলা তৈরি করে মন্দির বানিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। তাতে রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তি আছে। শুধু তাই নয়, ওই মন্দিরের সামনে আরও দুটি মূর্তি তৈরি করেন। একটি মূর্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো দেখতে। অপর মূর্তিটি আবার উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের মতো দেখতে বলে ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কীর্তি দেখে প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন। গুজরাটের ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর এলাকায় সেই ঘটনা ঘটেছে।
ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই কীর্তির মূলে আছেন মোহনলাল গুপ্তা। যিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তিনি যে দোতলা গোডাইন চালাচ্ছেন, তা আদতে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের পরই মোহনলালের গোডাউনের পরিদর্শনে আসেন ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর ডেভলপমেন্ট অথরিটির কর্তারা। আর তারপরই নিজের ‘অবৈধ’ নির্মাণকে বাঁচাতে অনুমতি ছাড়াই গোডাউনের উপরে একটি বাড়তি তলা তৈরি করে ফেলেন। আর সেখানেই মোহনলাল ওই মন্দির তৈরি করেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আর সেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ার পরে মঙ্গলবার ফের পরিদর্শনে আসেন ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর ডেভলপমেন্ট অথরিটির কর্তারা। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিদর্শনে এসে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। কারণ তাঁরা দেখেন যে মন্দিরে রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তি আছে। আর মন্দিরের ঠিক সামনেই মোদী এবং যোগীর মতো দেখতে মূর্তিও দেখতে পান তাঁরা। আর সেই মন্দিরটি ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন মোহনলাল। যেদিন অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়।
সেই পরিস্থিতিতে ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর ডেভলপমেন্ট অথরিটি মোহনলালকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহনলাল অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর দাবি, গত বছর এক ব্যক্তির থেকে ওই জায়গা কেনেন। যিনি নির্মাণের জন্য ২০১২ সালেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অনুমতি চেয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ-কেউ তাঁকে হিংসা করছেন। তাঁর থেকে টাকা চাইছেন। তাঁরাই গোডাউন ভেঙে দেওয়ার ছক কষেছেন বলে দাবি করেছেন মোহনলাল।