মণিপুরে সংকটে বিজেপি সরকার, মওকা বুঝে আসরে নামল কংগ্রেস
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 18 Jun 2020, 01:31 PM ISTসরকারের পতন কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
সরকারের পতন কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
আচমকাই সংকটে মণিপুরের বিজেপি সরকার। তিন বিজেপি বিধায়ক সহ নয় জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। এর জেরেই কার্যত পতনের মুখে সাড়ে তিন বছরের জোট সরকার। শুক্রবার রাজ্যসভার ভোটের আগে এভাবেই সমীকরণ বদলালো উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।
নয়জন বিধায়কের মধ্যে আছেন তিন জন বিজেপির, তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রী সহ চার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বিধায়ক, একজন তৃণমূল বিধায়ক ও একজন নির্দল বিধায়ক।
মওকা বুঝে আসরে নেমে পড়েছে মণিপুর কংগ্রেস মুখপাত্র নিনগোমবাম ভূপেন্দ্র মেইটেই। তিনি বলেন যে কংগ্রেস ও সম-মনস্ক দলের সমর্থন নিয়ে সরকার হবে। জনাদেশ কংগ্রেসের জন্যেই ছিল ও সেই স্বপ্নই এবার পূর্ণ হতে চলেছে, বললেন কংগ্রেস নেতা।
এনপিপি এতদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে ছিল। কিন্তু এবার তারা কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে তিনজন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাদের ভোট অবশ্য গ্রাহ্য হবে না দলত্যাগ বিরোধী আইনের কারণে।
এনপিপি নেতা ও প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জয়কুমার সিং বলেন যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোটের দাবি তারা করবেন বলে জানিয়েছেন জয়কুমার। তাঁদের মন্ত্রীদের কাজে হস্তক্ষেপ ও কোভিড সামলাতে ব্যর্থতার কারণেই তারা সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান তিনি। এপ্রিলেই জয়কুমারের হাত থেকে সমস্ত দায়িত্ব কেড়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই থেকেই বিবাদের শুরু।
বিজেপি অবশ্য এখনও আশাবাদী যে সরকার বেঁচে যাবে। মুখপাত্র এস রাজেন বলেন যে তিনজন গেলেও তাদের সরকার পড়বে না। স্পিকার যদি যে সাতজন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন, তাদের বিধানসভায় প্রবেশ করে ভোট দিতে দেন, তাহলে শুক্রবারের রাজ্যসভার ভোট জিততে আত্মবিশ্বাসী তারা, বলেছেন রাজেন। কংগ্রেসের আরও কিছু বিধায়ক দলবদল করবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
২০১৭ সালের নির্বাচনে ৬০টির মধ্যে ২১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২৮টি পায় কংগ্রেস।তবুও সরকার গড়েছিল বিজেপি ছোটো দলগুলির সহায়তা নিয়ে।
কিন্তু তিনজন বিধায়ক বিজেপি ছেড়েছেন। শরিক দলের ছয় জন সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। সাতজন কংগ্রেস বিধায়ক যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের আগেই বিধানসভায় প্রবেশ মানা আদালতের রায়। ফলে এই মুহূর্তে কুড়িয়ে বাড়িয়ে সরকারের সমর্থনে আছেন ২৩ জন। অন্যদিকে কংগ্রেসের দিকে আছে ২৬ জন। মণিপুর সরকার যে পতনের মুখে, তা বলাই যায়।