প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৯তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে কার্গিলের স্মৃতিচারণা করলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশবাসীকে কার্গিলের বীরদেরকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান। এদিন তিনি বলেন, 'দেশের তেরঙ্গা যাঁরা উঁচিয়ে ধরে সেই বীরদের সম্মানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। এই দেশভক্তি আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে।' পাশাপাশি এদিন উত্তরপূর্বের কৃষি কৌশলের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ফের একবার ‘লোকাল ফর ভোকাল’ নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ানোর জন্যে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভিক্ট্রি পাঞ্চ’ ক্যাম্পেনে অংশ নিতে দেশবাসীর কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামীকাল, অর্থাৎ ২৬ জুলাই কার্গিল দিবস। এই কার্গিল যুদ্ধকে ভারতের সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে দেখএ গোটা বিশ্ব। এই বছর এই দিনটি উদযাপিত হবে অমৃত মহোত্সবের মাঝে। তাই এটা আরও বেশি বিশেষ হচ্ছে। আমি কার্গিল যুদ্ধের একটি ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই এবং কার্গিলের বীরযোদ্ধাদের প্রতি স্যালুট জানাতে চাই।'
এদিকে এবছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উৎসব শুধু সরকারের নয়, কোটি কোটি ভারতীয়ের। তাই এ বছরের স্বাধীনতা দিবসে আরও বেশি মানুষ জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উঠুন। প্রত্যেক ভারতবাসী জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে 'রাষ্ট্রগান' ওয়েবসা আপলোড করতে পারেন।
এদিকে এদিন অলিম্পিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘অলিম্পিকে খেলোয়াড়দের ভারতের পতাকা হাতে হাঁটতে দেখে, শুধু আমি না, পুরো দেশই রোমাঞ্চিত হয়েছে। এই খেলোয়াড়রা জীবনের অনেক চ্যালেঞ্জ পার করে এখানে এসে পৌঁছেছেন। আজ তাঁদের কাছে আপনাদের সমর্থন রয়েছে। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভিক্টরি পাঞ্চ ক্যাম্পেন' শুরু হয়েছে। সেখানে নিজের দলের পক্ষে প্রত্যেকে ‘ভিক্টরি পাঞ্চ’ শেয়ার করতে পারেন। দেশের জন্য চিয়ার করুন ৷ দেশভক্তির এই ভাবনা আমাদের সবাইকে একসঙ্গে জুড়ে দেয়।’