নারীর শরীর মানেই তা মসৃণ, লোমহীন। সৌন্দর্য্যের সামাজিক মাপকাঠি এমনটাই বলছে। আর তার চাপে নিজেদের সমানে, আরও গ্রুমিং করে চলেন মহিলারা।
তবে সময়ের সঙ্গে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন মহিলাদের একাংশ। সামাজিক রীতিনীতির উল্টো পথে হাঁটছেন তাঁরা। আর তাঁদেরই একজন হলেন এস্থার ক্যালিক্সটে-বেয়।
এস্থারের বুকে লোম। সাধারণ যেটা পুরুষালি বলে মনে করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, এস্থারের দাবি, তাঁর বুকে প্রাকৃতিক উপায়ে লোম গজায়। বহু মহিলারই এমনটা হয়। সামাজিক মানদণ্ড পূরণের জন্য তাঁরা সেটা ওয়্যাক্সিংয়ের মাধ্যমে তুলে দেন। অনেকে আবার লেজার রিমুভ্যাল করিয়ে নেন। তবে সেসবের ধার ধারেন না এস্থার।
সোশ্যাব মিডিয়ায় তিনি সগর্বে নিজের এই ছবি তুলে ধরেছেন। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবতী জানান, খুব অল্প বয়স থেকেই তাঁর শরীরে লোম বেশি। ছোটবেলায় এর জন্য তিনি খুব লজ্জা পেতেন। আর পাঁচজনের থেকে নিজেকে অসুন্দর ভাবতেন। এর জন্য হীনমন্যতায় ভুগতেন তিনি। লজ্জায় সাঁতারের পোশাক পরা ছেড়ে দেন। অন্য মেয়েদেরই হাসি-ঠাট্টার পাত্র হতে হত তাঁকে।
তবে সময়ের সঙ্গে এস্থার বুঝেছেন, এটি তাঁর শরীর। আর এই যে শরীরের লোম, এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে হয়েছে। আর সেই কারণেই লজ্জা-ভয় দূরে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। গোটা বিশ্বের কাছে, উন্মুক্ত বুকে এসে দাঁড়িয়েছেন এস্থার।

২০২০ সালে 'জানুহেয়ারি' নামে এক ব্রিটিশ সচেতনতা বার্তা প্রচারাভিযানে অংশ নেন এস্থার। সেখানে গ্ল্যামার ইউকে ম্যাগাজিনে তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাঁর কাহিনী, আত্মবিশ্বাস ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এস্থার। আপাতত তিনি শিল্প সংক্রান্ত কাজ করেন। বর্তমানে 'বডি হেয়ার অ্যাক্টিভিজম' ক্ষেত্রের অন্যতম বড় নাম তিনি।
আপনার এ বিষয়ে কী মতামত? মহিলাদের শরীরের লোম নিয়ে কি অহেতুক সামাজিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়? জানান কমেন্টে।