প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর উরজিৎ পটেলকে সাপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তাঁর কথায় ধনরত্নের উপর সাপের মতো বসেছিলেন তিনি। প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ উই অলসো মেক পলিসি বইতে একথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি সেই বইতে লিখেছেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের উপর যত হতাশা গিয়ে পড়েছিল মোদী সরকারের। আসলে লেখকের মতে সেই সময় কেন্দ্রের নির্বাচনী বন্ড কেবলমাত্র রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ইস্যু করবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন উর্জিত প্য়াটেল। এরপরই এনিয়ে মোদী সরকারের রাগ ক্রমেই চড়তে থাকে। আর ওই ইলেকটোরাল বন্ড ডিজিটাল মোডে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই বছর জুন মাসে আরবিআইয়ের গভর্নর রেপো রেট ৬.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সরকারি সহায়ক মূল্য বাড়াচ্ছে সরকার এই কথা বলে রেপো রেট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তিন মাস বাদে তিনি জানিয়ে দেন রেপো রেট ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, তৎকালীন অর্থনীতি অরুণ জেটলি অবশ্য পটেল যেভাবে চলছিলেন তা মেনে নিতে পারছিলেন না।। কার্যত পটেল সম্পর্কে যে ধরনের মনোভাব দেখাত মোদী সরকার তা নিয়েও চর্চা করা হয়েছে ওই বইতে। ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর একটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে পটেল কিছু নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন। তবে সেই সব দিশা মানতে পারেনি সরকার। বইতে গর্গ দাবি করেছেন, গোটা ঘটনায় অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী। তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন, উর্জিত পটেল যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা অবাস্তব ও এটা প্রত্যাশিত নয়।
এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এই যে কেন্দ্রের সঙ্গে উর্জিত পটেলের দ্বন্দ্ব তা মোদীর মনেও প্রভাব ফেলে। তবে বইয়ের লেখকের দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পটেলের যোগাযোগও কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পিকে মিশ্রর মাধ্যমে সেই সময় যোগাযোগ হত দুপক্ষের মধ্য়ে।
সেই পরিস্থিতিতে একটা সময় রেগে যান খোদ প্রধানমন্ত্রী। LTCG Tax প্রত্যাহার নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। সেই সময় তিনি বলে বসেছিলেন, একেবারে ধনসম্পদের উপর সাপের মতো বসে রয়েছেন। গচ্