মুম্বইতে চলন্ত ট্রেনে গুলি চালিয়ে চারজনকে খুন করেছিল এক আরপিএফ কনস্টেবল। নাম চেতন সিং। তিনজন যাত্রী ও এক সিনিয়র আধিকারিককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ওই আরপিএফ কনস্টেবল। গতমাসের ঘটনা। এবার চাকরি গেল ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলের। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে কুকীর্তির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালে তিনি এক মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্সের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনারের তরফে থেকে সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এরপরই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে এর আগেও তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালে তিনি তখন মধ্য়প্রদেশের উজ্জয়িনীতে ফোর্সের ডগ স্কোয়াডে চাকরি করতেন। তখন তিনি আরপিএফ পোস্টে এক মুসলিম ব্যক্তিকে তুলে এনেছিলেন। এরপর তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা শুরু করেন।
এরপর এনিয়ে ফোর্সের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সিনিয়র অফিসাররা তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
অপর একটি ঘটনায় ওই কনস্টেবল তার সহকর্মীর উপর চড়াও হয়েছিল। অন্য একটি ঘটনায় অপর এক সহকর্মীর এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তিনি টাকা তুলে নিয়েছিলেন। অর্থাৎ এবারই প্রথমবার তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল এমনটা নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে তদন্তও হয়েছে।
তবে এবার একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। জয়পুর-মুম্বই সেন্ট্রাল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে চলন্ত ট্রেনে তিনি একের পর এক গুলি চালান। টিকারাম মিনা নামে তার এক সিনিয়র সহকর্মীকেও তিনি গুলি করে খুন করেন বলে অভিযোগ। গত ৩১ জুলাইয়ের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত গোটা দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। একের পর এক কামরায় গিয়ে তিনি গুলি চালান। গুলি চালিয়ে তিনি খুন করেন রেল যাত্রীদের। পরে জিআরপি তাকে গ্রেফতার করে। তবে কেন তিনি এভাবে গুলি চালিয়ে খুন করলেন পরপর চারজনকে তার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।
বর্তমানে অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে তিনি একের পর এক গুলি চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে সেই ঘটনার পেছনে কোনও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল সেদিন একটু আগে ডিউটি থেকে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা না পাওয়ায় তিনি রেগে যান। তবে সবটাই তদন্তসাপেক্ষ।