মাঝ আকাশে বিমানে বসে থাকা অবস্থায় আচমকাই গুলি এসে লাগল এক যাত্রীর শরীরে। জানা যায়, বিমানটি সেই সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০০ ফুট উচ্চতা দিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে মায়ানমারের আকাশসীমায়। গুলিবিদ্ধ মায়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি সেদেশের রাজধানী থেকে লাইকোভে যাচ্ছিল। জখম যাত্রীর বয়স ২৭ বছর বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর লাইকোভে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মায়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। এই ঘটনার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে মায়ানমারের সামরিক সরকার। যদিও সরকারের এই অভিযোগকে খারিজ করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এদিকে মাটি থেকে ৩৫০০ ফুট উচ্চতা দিয়ে যাওয়া বিমানের দেওয়াল ভেদ করে কীভাবে একটি গুলি ঢুকে পড়তে পারে, তা নিয়ে হতবাক সবাই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দুটি বিদ্রোহী বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে। সামরিক পরিষদের দাবি, কারেনি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি (কেএনপিপি) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এই ঘটনার জন্য দায়ী। যদিও কারেনি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি দাবি করেছে, সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় না। মাময়ানমার সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জও মিন তুন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। যে সব নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান দেশে শান্তি বজায় রাখতে চান, তাঁদের উচিত এই ঘটনার প্রতিবাদ করা।’