অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার এলুরু শহরের বাসিন্দারা এক রহস্যময় রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও এই রোগ ঠিক কোথা থেকে হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের নির্দেশে তিন সদস্যের দল মঙ্গলবার আসছেন অন্ধ্রের এই শহরে। ইতিমধ্যে একজন মারা গিয়েছেন এই রহস্যময় রোগে।
এলুরুর সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে গত দুই দিন ধরেই রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন মাথা ব্য়থা, বমি, এপিলেপ্সি প্রভৃতি লক্ষণ নিয়ে। গভীর রাতেও বিরামহীন এই রোগীর ধারা। সারা শহর জুড়ে বেজে চলেছে অ্যাম্বুলেন্সের ঘণ্টি।
সোমবার রাত অবধি ৪৭১ জন রোগী সরকারি হাসপাতালে এসেছেন। জনস্বাস্থ্য দফতরের কর্তা গীতা প্রসাদিনী জানিয়েছেন যে এরকম আগে কখনো দেখা যায় নি। যারা আসছেন তারা ওষুধ খেয়েই সুস্থ বোধ করছেন। কিন্তু কেন এই রোগ হচ্ছে মানুষের সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। অধিকাংশ যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা ২০-৩০ বছরের মধ্যে। তবে ১২ বছরের কমে শিশুও আছে অনেকে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বছর ৪৫-এর শ্রীধরের। তিনিও অসুধ খেয়ে ভালো ছিলেন, কিন্তু তারপর আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয় ও মৃত্যু হয়।
শহরের জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে সেখান থেকে রোগ ছড়িয়েছে কি না বোঝার জন্য। রোগীদের রক্তের নমুনা স্বাভাবিক বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়াও কোনও ভাইরাল রোগের চিহ্ন মেলেনি। সিটি স্ক্যানও স্বাভাবিক। এইমসের চিকিৎসকরা এসে ইতিমধ্যেই মল, মূত্র ও রক্তের নমুনা নিয়েছে। কোনও ভাবে খাদ্যে সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি এসে অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেন ও স্থানীয় প্রশাসনকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেন। এই বিষয় তদন্ত করা হবে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষবর্ধন তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল গড়েছেন যারা মঙ্গলবার এলুরুতে এসে সরজমিনে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবে।