লক্ষ্য ২০২৪–এর লোকসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে বিজেপিকে হারাতে বিরোধীরা একত্রিত হয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করেছে। তা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় ভোটে সংখ্যালঘু মুসলিম মহিলাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য তাদের কাছে পৌঁছতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে রাখি বন্ধন উৎসবে মুসলিম মহিলাদের পৌঁছে বিজেপির নেতাদের রাখি পরানোর পরামর্শ দিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, তিন তালাক নিষিদ্ধ করার জন্য তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। তা নিয়ে অনেক মুসলিম মহিলা বিজেপিকে সমর্থন করেছে। সেই সূত্রেই লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে রাখি উৎসবে মুসলিম মহিলাদের কাছে পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: লোকমান্য তিলক পুরস্কার পেলেন মোদী,একই মঞ্চে শরদ পাওয়ার, হেসে হেসে কথাও হল দুজনের
সোমবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সাংসদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য নেতারা বিজেপির আমলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তারপরেই মুসলিমদের তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করার জন্য তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত মুসলিম মহিলাদের উৎসাহিত করেছে। তাঁদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।’ বৈঠকে উপস্থিত থাকা সাংসদরা জানিয়েছেন, সেই সূত্র ধরেই প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের কাছে পৌঁছানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তাই রাখি উৎসবের সময় এই বিশেষ কর্মসূচি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এ বছর রাখি উৎসব পালিত হবে আগামী ৩০ অগস্ট।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রায়ই মুসলিম মহিলাদের জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই বছর মেহরাম ছাড়াই ৪০০০–এর বেশি মুসলিম মহিলা হজে গিয়েছেন। একটি বিরাট পরিবর্তন উল্লেখ করে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মুসলিম মহিলা হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে তিনি জানান। তাছাড়া হজের নীতিতে পরিবর্তন আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটকেও আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বিরোধী জোট তাদের নাম ইউপিএ থেকে ইন্ডিয়া’তে পরিবর্তন করতে পারে। তবে এই নাম তাদের দুর্নীতি ও অপশাসনের পাপ ধুয়ে ফেলতে সক্ষম হবে না। কারণ ইউপিএ বেশ কয়েকটি কেলেঙ্কারিতে কলঙ্কিত হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ এটা কখনই মেনে নেবে না।’ এদিন অন্যান্য সাংসদরা তাঁদের ভাষণে বলেন, ‘শাসক জোট সমাজ ও দেশের সেবা করছে এবং মানুষের আশীর্বাদ গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের সরকারের কাজ সম্পর্কে একটি ইতিবাচক বার্তা নিয়ে জনগণের কাছে যেতে বলেছেন।’