লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুনেতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর হাতে এই পুরস্কার অর্পন করা হয়েছে। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল মোদী যখন এই পুরস্কার নিলেন তখন মঞ্চে ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তাঁর সঙ্গে মোদীর কিছুক্ষণ কথাও হয়েছে। দুজনকে হাসতেও দেখা যায়। পুরস্কার পাওয়ার পরে মোদী জানিয়েছেন, এটা আমার জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত।
এদিন উদ্যোক্তারা তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। মূলত নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেমকে ছড়িয়ে দেওয়া ও সুপ্রিম নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তবে সূত্রের খবর, মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে না থাকার ব্যাপারে বিরোধী জোট INDIA'র তরফে তাঁকে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু শরদ পাওয়ার অবশ্য় সেসব কথা শোনেননি। তাঁরা বারণ করেছিলেন কারণ কেন্দ্রের মোদী সরকারকে পরাজিত করার জন্য তারা এই বিরোধী জোটের মঞ্চ তৈরি করেছেন। সেই অবস্থায় এখনই মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চ শেয়ার করাটা ঠিক হবে না। তবে সেসব মানতে চাননি শরদ পাওয়ার। প্রবীন রাজনীতিবিদ পাওয়ার মঞ্চে মোদীর সঙ্গে কথাও বলেন।
সূত্রের খবর, কিছু এমপি তাঁকে সেই অনুষ্ঠানে যেতে বারণও করেছিলেন। কিন্তু শরদ পাওয়ার সেসব কথা কানে তোলেননি। তিনি সটান ওই মঞ্চে চলে যান।
মূলত লোকমান্য তিলকের পরম্পরাকে বজায় রাখার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই ১৯৮৩ সাল থেকে এই পরম্পরা বজায় রাখা হচ্ছে। প্রতিবছর ১লা অগস্ট লোকমান্য তিলকের প্রয়াণ দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এদিকে মোদী পুনে পৌঁছনর পরে ইন্ডিয়া জোটের লোকজন বিক্ষোভও দেখান। আসলে স্থানীয় গণেশ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মোদী। আর সেখান থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে বিক্ষোভ দেখান জোটের লোকজন। একাধিক রাজনৈতিক দলের লোকজন ও সমাজকর্মীরা এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। কংগ্রেস, শিবসেনা, এনসিপিও ছিলেন। কিন্তু এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার অবশ্য কার্যত সেই বিরোধিতা শিকেয় তুলে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন বলে খবর।