অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা পর্বে এদিন হাইভোল্টেজ বক্তৃতায় সংসদে একের পর এক খোঁচা বিরোধী পাল্টা ফিরিয়ে দিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন সকালে , সংসদের অধিবেশনে অগ্নিগর্ভ ভাষণে ঝড় তুলেছিলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগই এদিন ছিল মোদী সরকারের টার্গেট করে। এদিকে, তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদী বক্তব্য রাখতে উঠে অধীর চৌধুরীকে ঝাঁঝালো তোপ দিতে ছাড়েননি। মোদী বলেন, ‘গুড়কে গোবর ক্যায়সে করানা হ্যায় উসমে ইয়ে মাহির হ্যায়’ (গুড় দিয়ে কীভাবে গোবর বানাতে হয়, তাতে ওঁর দাপট আছে।)
এদিন অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা পর্বে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন,'অনাস্থা প্রস্তাবের জোর দেখুন প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনলাম।' সকাল থেকেই সূত্রের খবর ছিল যে, সংসদে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হবেন অধীর চৌধুরীর ভাষণে। আর ঠিক বাস্তবেও সেটাই হল। অধীর চৌধুরী ভাষণ শুরু করতেই মোদী প্রবেশ করলেন লোকসভা কক্ষে। ততক্ষণে বিরোধীরে ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ স্লোগানে কক্ষ মাত করেছেন। এদিকে, পাল্টা মোদী নিজের ভাষণে অধীরকে টার্গেট করে বলেন, ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। আর সেবার বলেছিলেন বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এরপর মোদী বলেন,' আর এবার সবথেকে বড় বিরোধী দলের লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম বলার সূচিতে ছিলই না।’ এরপরই মোদী বলেন,' কেন অধীরবাবুকে কোণঠাসা করা হল? মনে হয় কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছিল। আমি অধীরবাবুর প্রতি পূর্ণ সমবেদনা জানাচ্ছি।' খোঁচার সুরে মোদী বলেন,'এটা অমিত শাহের উদারতা যে তিনি অধীরবাবুকে সময় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।'
মোদী এদিন বলেন, ‘আগের উদাহরণগুলি আপনি দেখুন। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এসেছিল, সেই সময় শরদ পাওয়ারজি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, পরে ২০০৩ সালে অটলজির সরকার ছিল সেবার সোনিয়াজি বিপক্ষের নেতা ছিলেন তিনি লিড নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে খাড়গেজি ছিলেন বিপক্ষের নেতা তিনি স্পষ্ট করে বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার অধীর বাবুর কী হাল হল? ওঁর পার্টি ওঁকে বলতেই দিলেন না।’ এরপর মোদী বলেন, অমিত শাহ ও স্পিকারের সৌজন্যে অধীরবাবুকে বলতে দেওয়া হয়েছিল। এরই সঙ্গে মশকরার সুরে মোদী বলেন,'কিন্তু গুড়কে গোবর কীভাবে করতে হয়, তাতে ইনি তো সিদ্ধহস্ত।' এরপরই মোদী প্রশ্ন তোলেন কেন অধীরবাবুকে এভাবে কোণঠাসা করা হল। তখনই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছিল!’