মঙ্গল গ্রহে প্রাণ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে চাই মাটির নমুনা। সেইমতো নানারকম নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে নাসার পাঠানো পার্সাভিয়ার্যান্স রোভার। সম্প্রতি সেই কাজের অংশ হিসেবে লাল মাটিতে ১০টি টাইটেনিয়াম টিউব রাখল রোভার। নাসার তরফে সেই ছবিই এবার প্রকাশ্যে এল। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে এই কাজ শুরু করেছিল পার্সাভিয়ার্যান্স। প্রায় দেড় মাসের মাথায় সেই কাজ শেষ হল। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোভারের বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে মোট ৩৬৮টি ছবি তোলা হয়েছিল। সেই ছবিগুলিই একসঙ্গে জুড়ে প্রকাশ করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। তাতে দেখা যায়, একটি বিস্তীর্ণ লাল অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে টাইটেনিয়াম টিউবগুলি।
এই টিউবগুলির কাজ কী?
মঙ্গলের মাটি থেকে গবেষণার জন্য জরুরি নমুনা সংগ্রহ করাই এই টিউবের কাজ। সেখানে নমুনা টিউবের একটি ডিপো গড়া হয়েছে তাই। দশটি টিউবে দশটি নামও দিয়েছে নাসা। কোথাও কোনটি রাখা হয়েছে তাও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এই নমুনা টিউবগুলি সংগ্রহ করে ফেরত আনবে অন্য একটি অভিযানের বিশেষ যান। নাসার তরফে জানানো হয়, ‘মার্স স্যাম্পল রিটার্ন ক্যাম্পেন’-এর সময় এই টিউবগুলি সংগ্রহ করা হবে। এরপর সেই নমুনাগুলি গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করবেন বিজ্ঞানীরা। কোনও অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। বিলিয়ন বা মিলিয়ন বছর আগে হলেও সেখানে কোনও অণুজীবের প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে তারই খোঁজ চলবে। নাসার তরফে বলা হয়, নাসা ও এসা (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি)-এর মিলিত উদ্যোগে একটি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। যার কাজ এই টাইটেনিয়াম টিউবগুলি সংগ্রহ করে ফেরত নিয়ে আসা।
নাসা ও এসার যৌথ উদ্যোগে পাঠানো স্যাম্পল রিট্রিভার ল্যান্ডারকে নমুনাকে সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে পার্সাভিয়ার্যান্স রোভার। যদি কোনও কারণে রোভার তা নাও পারে, তাহলেও ল্যান্ডারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাও থাকবে। তার সাহায্যে তুলে আনা যাবে সবকটি নমুনা টিউব। এই দিন, নাসার তরফে আরেকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, কীভাবে মাটিতে রাখা হয়েছে প্রতিটি টিউব। ঠিকভাবে রাখা হয়েছে কিনা তা দেখতেই এই বিশেষ ছবিগুলি তোলা হয়। মোট ১০টি টিউবের ছবি একসঙ্গে জুড়ে প্রকাশ করে নাসা কর্তৃপক্ষ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup