সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তিন জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক আমিশ দেবগন, আমান চোপড়া এবং সুধীর চৌধুরীর শোও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে সিক্রির নেতৃত্বে নিউজ ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি (এনবিডিএসএ) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। জারি করা হয়েছে কড়া নির্দেশিকাও।
- কোন তিন নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
নিউজ ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি (এনবিডিএসএ) তিনটি বিশিষ্ট টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল - নিউজ ১৮ ইন্ডিয়া, টাইমস নাও নবভারত এবং আজ তকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের গত দুই বছরে প্রচারিত বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো ডিলিট করতে বলার পাশাপাশি আরও কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় দেখানো শোয়ের জন্য তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনটি চ্যানেলকে সাত দিনের মধ্যে অনলাইনে আপলোড করা আপত্তিকর অনুষ্ঠান অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- কী কী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
এনবিডিএসএ কর্মী ইন্দ্রজিৎ ঘোরপাড়ের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টাইমস নাও নবভারতের উপস্থাপক হিমাংশু দীক্ষিতকে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ককে 'লাভ জিহাদ' হিসাবে স্বাভাবিক করার জন্য দোষীর চোখে দেখেছে এনবিডিএসএ। তাই টাইমস নাও নবভারতকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। পাশাপাশি নিউজ ১৮ ইন্ডিয়াকেও তিনটি অনুষ্ঠানের জন্য ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যাঙ্কর আমান চোপড়া এবং আমিশ দেবগনের শোয়ে শ্রদ্ধা ওয়াকার মামলাটিকে লাভ জিহাদ হিসাবে তুলে ধরার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে, আজ তককে সুধীর চৌধুরীর দ্বারা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের জন্য তিরস্কার করা হয়েছে যেখানে রাম নবমীর সময় সহিংসতাকে তীর বানিয়ে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এনবিডিএসএ।
NBDSA সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ কে সিকরি বলেছেন যে প্রতিটি আন্তঃধর্মীয় বিয়েকে লাভ জিহাদ বলা ভুল। সমাজে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন টিভি অনুষ্ঠান চালানোর জন্য তিনি এই তিনটি টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এনবিডিএসএ তাদের সিদ্ধান্তে বলেছে, গণমাধ্যমের তার পছন্দের যেকোনো বিষয়ে বিতর্ক করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যক্তির কর্মের জন্য একটি সমগ্র সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এমন প্রোগ্রামগুলি এড়ানো উচিত।