নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বিজেপি সরকারের গঠন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তার রেশ সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে দেশের বাইরেও। এমনকী বিপ্লবের এই বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দায় এবার সরব হল নেপাল সরকার। এই নিয়ে ভারত সরকারের কাছে ‘সরকারিভাবে’ আপত্তি জানিয়েছে কাঠমান্ডু। আর তাতেই তেতে উঠেছে বৈদেশিক সম্পর্ক।
এই মন্তব্য নিয়ে নেপালে টুইট যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি তীব্র আপত্তি তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নোট করা হয়েছে। আমাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছি।’ এমনকী ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত এই আপত্তি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই মন্তব্যে নেপালের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে বলেও সরব হয়েছে তারা। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অরিন্দম বাগচিকে ফোন করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
যদিও ভারত এই বিষয়ে কী বলেছে, তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি বিদেশমন্ত্রক। তবে বিপ্লবের মন্তব্যে নয়াদিল্লিতে অস্বস্তিতে পড়েছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কা–নেপালে সংগঠন গড়ে তোলার কথা বলেছেন অমিত শাহ। আগরতলায় অতিথিশালায় আমরা কথা বলছিলাম। অমিত শাহ বলেছিলেন, নেপাল–শ্রীলঙ্কা বাকি রয়েছে। ওখানেও আমাদের জিততে হবে।’ আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।